দেশের একসময়ের আলোচিত-সমালোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। শোবিজকে বিদায় জানিয়ে ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হয়েছেন। এরপর অনেকটা গোপনেই আবু সালেহ মুসা নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। আপাতত সুখে সংসার করছেন সানাই।
ঝলমলে মিডিয়া ছাড়লেও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব তিনি। প্রায়ই স্বামীর সঙ্গে তোলা বিভিন্ন ছবি পোস্ট করেন তিনি। এছাড়াও নানান সময় স্ট্যাটাসে নিজের মনোভাব প্রকাশ করেন।
সবশেষ স্ট্যাটাসে খানিকটা দুঃখপ্রকাশ করে সানাই লিখেছেন, ‘জীবনের প্রথম ইফতার বাবাকে ছাড়া। বাবা ইফতারের দাওয়াত দিলেও নিতে পারিনি। বাবাকে দেখলেই কান্না পায় আমার। কারণ ছেড়ে আসতে হয় বাবার ঘর।’
সানাইয়ের ভাষ্য, ‘অনেকের মনেই প্রশ্ন, কেনো আমি আলো ঝলমলে মিডিয়া ছেড়ে ইসলামের পথ বেছে নিয়েছি? এই প্রশ্নের পেছনে অনেক কারণ থাকলেও উদ্দেশ্য ছিলো একটাই। আমার আল্লাহর প্রতি ভয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, প্রত্যেকটি বান্দা পাপী, কেউ কম পাপী, কেউ বেশি পাপী এই যা! কিন্ত আল্লাহ তওবাকারীকে পছন্দ করেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘আমার ইসলামের পথে ফেরার পেছনের কারণ বলতে, একটা সময়ে বিনা কারণেই আমার মন খারাপ থাকতো। হঠাৎ করেই মন খারাপ হয়ে যেত। হঠাৎ করে কিচ্ছু ভালো লাগতো না। তখন আমি নামাজ শুরু করি। প্রথমে নামাজ পড়তে আলসেমি লাগলেও কিছুদিনের মধ্যে নামাজ না পড়লে ভালো লাগতো না। নামাজ আমার সঙ্গী হয়ে গেলো। কুরআন মাজিদে স্পষ্ট বলা হয়েছে, নিশ্চয়ই নামাজ সমস্ত পাপ আর অশ্লীল কাজ থেকে দূরে রাখে। ঠিক এভাবেই নামাজ আমাকে বের করে নিয়ে এসেছে অন্ধকার থেকে আলোর পথে। সেই পথ, যা মানব জাতিকে সরল পথ দেখায়।’
প্রসঙ্গত, সানাইয়ের অধিকাংশ কাজই সমালোচিত। একটা সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলামেলা বিচরণ ছিল তার। অশ্লীলতার অভিযোগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে হাজিরাও দিয়েছিলেন। সে সময় মুচলেকায় সই করে ছাড়া পান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রীকে বিয়ে করছেন বলে আলোচনায় আসেন তিনি। যদিও পরে শোনা যায়, মন্ত্রী নয় এমপিকে বিয়ে করছেন। সে সময় তিনি এমপির পরিচয় গোপন রেখেছিলেন। ২০২১ সালে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন সানাই। তারপর থেকেই আর আলোচনায় নেই তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচল থাকলেও আগের মতো খোলামেলাভাবে আর দেখা যায় না তাকে।