আজাদ আবুল কাশেম: প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী জুলিয়া’র ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর। প্রয়াত এই গুণি অভিনয়শিল্পী’র প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
অভিনেত্রী জুলিয়া (সুরঞ্জনা পারুল) ১৯৬৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, জন্মগ্রহণ করেন । মঞ্চনাটক থেকে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র মাসুদ পারভেজ পরিচালিত ‘জবাব’। নায়িকা জুলিয়া অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রসমূহ- দিলদার আলী, জোকার, সৎ মা, দোস্তী, সবুজ সাথী, জনতা এক্সপ্রেস, গাঁয়ের ছেলে, খোকন সোনা, রাজকন্যা, ভালো মানুষ, সীমার, গলি থেকে রাজপথ, মনাপাগলা, অপমান, সিআইডি, বিদ্রোহ, নির্দোষ, মহানায়ক, ষড়যন্ত্র, সকাল-সন্ধ্যা, বাল্যশিক্ষা, বিচারপতি, আঘাত, চন্দনা ডাকু, গৌরব, দায়িত্ব, প্ৰেমিক, লাল কাজল, মোহন বাঁশি, মৰ্যাদা, গ্ৰেফতার, অগ্নি পরীক্ষা, ইন্সপেক্টর, মায়ের দাবী, দ্বীপকন্যা, নবাব, তুফান মেইল, দুই বোন, রাজ কপাল, শক্তিশালী, অপমান, বিচারপতি, বিদ্রোহী, আঘাত, ডার্লিং, লড়াকু, খুনী, বানজারান, জোশ, সোহেল রানা, দিন মজুর, ধর্ম আমার মা, মার্শাল হিরো, শরীফ বদমাশ, চাঁদ সওদাগর, চন্দনা ডাকু, প্রায়শ্চিত্ত, বীর যোদ্ধা, বজ্ৰমুষ্ঠী, দেশ বিদেশ, মহারাণী, দেশ দুশমন, গোলামীর জিঞ্জির, আজাদ, নাম-বদনাম, বজ্ৰপাত, মা-বাপ, নিশানা, জুলুমবাজ, মৃত্যুদন্ড, অগ্নি সন্তান, প্রভৃতি।
একজন প্রতিশ্রুতিশীল নায়িকা জুলিয়া। প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী জুলিয়া। এক সময় দ্বিতীয় নায়িকা হিসেবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে প্রচুর চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। দর্শকপ্রিয়তাও ছিল তুঙ্গে। বহু ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে চুটিয়ে অভিনয় করে গেছেন। কিন্তু যতটা পাত:প্রদীপের আলোয় আসার কথা, ততটা আসতে পারেননি। একজন ভালো অভিনেত্রী হিসেবে যতটা প্রচার ও সুনাম পাওয়ার কথা, ততটা তাঁর বেলায় হয়নি। প্রচারের বাহিরে থাকায় আজীবন রয়ে গেছেন আড়ালে।
নিরবে-নিভৃতে অনন্তলোকে চলে যাওয়া প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী জুলিয়া, চির অম্লান হয়ে থাকবেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রদর্শকদের কাছে।