সদ্য অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পীরজাদা হারুন ও সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জায়েদ খান এক হয়ে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। ভোটে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিপুণের মন্তব্য, ‘পীরজাদা হারুন ও জায়েদ খান একটা গ্যাং।’
রোববার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে নির্বাচন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নিপুণ।
তিনি বলেন, পীরজাদা হারুন একজন সরকারি চাকরিজীবী। আমি বলব, তিনি যে চাকরি করেন, তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
কাঞ্চন প্যানেলের এ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আরও বলেন, পীরজাদা ও জায়েদ খানরা মিলে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। আমি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে থানায় জিডি করেছি।
মিশা-জায়েদ পরিষদ নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন করেছে অভিযোগ করে নিপুণ বলেন, নিয়ম-কানুন কি শুধু কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের জন্য ছিল? মিশা-জায়েদ পরিষদের জন্য ছিল না? আমরা ব্যারিকেড দিয়ে ভেতরে অবস্থান নিয়েছিলাম, কিন্তু জায়েদ খান সেই ব্যারিকেডের ভেতরে আসেননি কেন? তিনি কেন ব্যারিকেডের বাইরে গিয়ে টাকা দিয়ে ভোট কিনলেন?
সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন, রিয়াজসহ কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে পরাজিত হন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে ভোট পুনর্গণনার জন্য আপিল করেন নিপুণ। কিন্তু সেখানেও একই ফলাফল পায় আপিল কমিটি।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৪২৮। ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। এর মধ্যে কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে ১০টি আর সাধারণ সম্পাদক পদে বাতিল হয় ২৬টি ভোট।
ভোটে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি পদে ১৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পান ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে ১৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন জায়েদ খান। নিপুণ পান ১৬৩ ভোট।
Zahed khanar pod batil kora hok r tar sathe jorito sobar todonto kore distantomulok sastir bebostha kora hok