গুঞ্জন নয়। রীতিমতো টলিউডে এখন জোর চর্চা চলছে অভিনেতা, বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও ছোট পর্দার পরিচিত মুখ শ্রীময়ীকে নিয়ে। এর সঙ্গে জড়িয়েছেন বাইরের কেউ নন, স্বয়ং কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী পিঙ্কি নিজেই। এই তিনজনের নয়া সমীকরণে নজর এখন সবার।
খবর রটেছিল, কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে। যদিও এতোদিন এ নিয়ে মাথা ঘামাননি পিঙ্কি। কিন্তু গতকাল যেন গুঞ্জনে পড়লো সিলমহোর। নিউ আলিপুর থানায় স্বামী কাঞ্চনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করছেন কাঞ্চন। মত্ত অবস্থায় অকথ্য গালিগালাজ করছেন, এমনকি বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কাঞ্চন গাড়ি থেকে পিঙ্কিকে টেনে নামিয়ে হেনস্থা করেছেন। এমনটা সংবাদমাধ্যমে দাবি পিঙ্কির। অভিযোগ করেছেন তিনি শ্রীময়ীর বিরুদ্ধেও।
ওদিকে থেমে থাকেননি কাঞ্চন মল্লিকও। চেতলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন স্ত্রী পিঙ্কি ব্যানার্জি সম্পর্কে। অভিযোগ- পিঙ্কি তাকে হেনস্থা করেছেন।
প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শ্রীময়ীও। তাতে তিনি বলেছেন, পিঙ্কি দি আমার সঙ্গে একবার কথা বলতে পারতো! কাঞ্চন দা আর আমাকে জড়িয়ে পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে আমার সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। লজ্জায়, ঘেন্নায় আমার আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করছে। তিনি আরও বলেন,
পিঙ্কিদির জানা উচিত, পারিবারিক বন্ধু হিসেবে ওদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কেমন। যদিও পিঙ্কি বলেছেন, আমার সঙ্গে শ্রীময়ী চট্টরাজের কোনো সম্পর্ক নেই।
এসব নিয়ে আলোচনা- সমালোচনার ডালপালা বিস্তৃত হওয়ার পাশাপাশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। যেমন করেছেন পিঙ্কির সম্পর্কিত ঠাকুমা কিংবদন্তি অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ও। তার দাবি ‘‘কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা কিছুই জানি না। তবে পিঙ্কিকে নিয়ে আমার বেশ চিন্তা হচ্ছে।’’
সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় পিঙ্কির বাবার মাসি। সেই সূত্রে তিনি কাঞ্চনের দিদিশাশুড়ি।
আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় এ বিষয়ে সাবিত্রী বলেন- পিঙ্কিকে খুঁজতে কাঞ্চন আমার কাছেও এসেছিল। যদিও সেই সময় পিঙ্কি নিউ আলিপুরে ছিল না।’ অভিনেত্রীর বক্তব্য, পিঙ্কির ছোটবেলার বেশির ভাগ সময় কেটেছে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তার কাছেই পিঙ্কি বড় হয়েছেন। বিয়ের পর কাঞ্চনও অনেকবার এসেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সময়ও কাটিয়ে গিয়েছেন। তার মতে, কাঞ্চনের কথাবার্তা একবারের জন্যেও তার খারাপ লাগেনি। নাতজামাই হিসেবে তিনি পছন্দ করতেন বিধায়ক-অভিনেতাকে। কোনও দিন কোনও গুজবও শোনেননি কাঞ্চনের নামে।
নাতনীকে কোনো পরামর্শ দেয়ার আছে কিনা এমনটা জানতে চাইলে সংবাদমাধ্যমকে এই প্রবীণ অভিনেত্রী বলেন, ‘‘মুখ না খুলেই কাঞ্চনের চোখে আমরা দোষী। ওর ধারণা, আমরা নাকি সংবাদমাধ্যমের কাছে কাঞ্চনের নামে মিথ্যা অপবাদ রটিয়েছি। এখন কিছু বলতে গেলে আরও দোষের ভাগীদার হব। আমি তাই কাউকেই কিছু বলব না।’’