দূরন্ত টিভির বজলু চোর অথবা মূকাকু খ্যাত খ্যাতিমান মেধাবী মূকাভিনেতা ও বিশিষ্ট বিনোদন সাংবাদিক নিথর মাহবুব। যিনি মনে প্রাণে একজন থিয়েটার কর্মী। ছোট পর্দায় নিয়মিত অভিনয় আর সাংবাদিক জীবনের ব্যাস্ততা চুকিয়ে ছুটে যান তার নিজ গৃহ থিয়েটারে। থিয়েটার-ই যেন তার আপন ঠিকানা। নিজ হাতে গড়া মাইমের দল ‘মাইম আট’ বাদেও ঢাকায় আরও তিনটা দলের সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন তিনি। সেগুলো হল- শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটার, নাটুকে থিয়েটার ও জেনেসিস থিয়েটার। এসব দলের নেপথ্যে ও নাটকের অভিনয়ে কাজ করেন নিজের মাইমের দল তৈরিরও আগে থেকে। মাইমে পরিচিতি পাবার আগে নিয়মিত যে মঞ্চ নাটকে অভিনয় করতেন, সেই নাটকগুলো যখন মঞ্চায়ন হয় সেগুলোতে এখনও অভিনয় করেন তিনি। করোনা পরিস্থিতি গেলে জেনেসিস খিয়েটার’র জন্য নিজের লেখা নতুন একটি মঞ্চনাটক নিয়ে কাজ করারও প্রস্তাব পেয়েছেন নিথর মাহবুব।
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছুই থমকে যাওয়ার কারনে থিয়েটারও বন্ধ হয়ে ছিল। তবে প্রতিভাবান এই মাইম শিল্পী করোনাকালিন এই অবস্থাতে বাসায় থেকেও থেমে থাকেননি। করোনার সময়টাতে তিনি ঘরে বসে বসে আবৃত্তি করে তা Nthor Mahbub নামে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড দিয়েছেন। এযাবৎ ১০টি আবৃত্তির ভিডিও আপলোড দিয়েছেন তিনি। যার মধ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিজের লেখা ‘সাইরেন’ কবিতাটিতে ভাল সাড়া পেয়েছেন নিথর মাহবু। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে সতর্ক করতে এবং ঘরে থাকতে উৎসাহ দিতে মাইমের দুটি ভিডিও তৈরি করেও আপলোড দিয়েছিলেন তিনি।
গেলো ঈদে ছোট পর্দায় নিথর মাহবুব অভিনীত দুটি নাটক প্রচার হয়েছে। এর মধ্যে আরটিভিতে প্রচারিত আবু হায়াত মাহমুদ পরিচালিত ‘অন্তঃরিণ’ নাটকটি ঈদের অন্যতম নাটকগুলোর মধ্যে একটি। এই নাটকে অভিনয় করে ভাল সাড়া পেয়েছেন তিনি। ঈদের পরে এখনও কোন টিভি নাটকে কাজ করা না হলেও সপ্তাহ খানেকের মধ্যে নতুন একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ে যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন। মাইমের কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। শিল্পকলা একাডেমি খুলে দিলেই নিজের দল ‘মাইম আর্ট’ নিয়ে আবারও পুরোদমে কাজ শুরু করবে বলেও জানালেন। করোনাকে পাশ কাটিয়ে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর আবারও থিয়েটারে ফিরলেন তিনি।
নিজের আপন ঠিকানায় ফেরা নিয়ে গুণী এই মাইম শিল্পী বললেন- আমি ‘লালজমিন’ নাটকটির সঙ্গে যুক্ত অনেক আগে থেকেই। নেপথ্যে আমি মিউজিক অপারেট করতাম। কিন্তু মোমেনা আপা যখন ঢাকার বাহিরে একাধারে শো করছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুদানে, তখন আমার পক্ষে সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছিলনা। কারণ আমি চাকরির করি। আবার আমার নিজের একটা দল আছে , এই দলেরও কাজ থাকে। তবে যখনই ঢাকা কেন্দ্রিক শো থাকে তখন আমি সেই শোগুলোতে থাকার চেষ্টা করি। মোমেনা আপা যখন ২৮তারিখ শো করার পরিকল্পনা জানালেন আমি অতি উৎসাহে শোতে থাকার জন্য রাজি হলাম। কারণ অনেকদিন শিল্পের অঙ্গন থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে হাপিয়ে উঠেছিলাম। সবাই দোয়া করবেন আমরা সবাই যেন আগের মতো আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারি।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন