মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় দু’দিনের রিমান্ড শেষে চিত্রনায়িকা পরীমণির জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই অভিনেত্রীর মামলার প্রধান আইনজীবী মুজিবর রহমান দলের আট সদস্য নিয়ে তার পক্ষে লড়ছেন। আজ চাওয়া হয়েছিল পরীমণির জামিন।
আইনজীবী মুজিবর রহমান জামিনের আবেদনে বলেছেন, ‘পরীমণি একজন ‘প্যানিক অ্যাটাক’র রোগী। দীর্ঘ সময় পুলিশ কাস্টডিতে থেকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার স্বার্থে আসামিকে জামিন দেওয়া হোক।’ তবে আদালত তা নাকচ করে দিয়েছেন। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, পরীমণিকাণ্ডে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তার সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করলেও তার পক্ষে লড়ছেন এই সংগঠনের আরেক সদস্য চিত্রনায়ক আমান। যিনি পেশাগত কারণে পরীমণির পক্ষে লড়ছেন। এই অভিনেত্রীর মামলার প্রধান আইনজীবী মুজিবর রহমানের দলের আট সদস্যের একজন আমান।
জানা গেছে, পরীমণির আইনজীবী মুজিবর রহমান অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান তিন সহকারী আইনজীবীর অন্যতম এই চিত্রনায়ক। যাকে এখন পরীমণির পক্ষে আইনি লড়াইয়ে নামতে হয়েছে।
এ বিষয়ে আমান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথমত এটা আমার ঈমানি দায়িত্ব। আমি বাধ্য। আমি দায়িত্ব পালনে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আর সহকর্মীর পক্ষে লড়াটা একটা আনন্দের বিষয়। মানে এক ধরনের ভালোলাগা তো কাজ করেই। প্রথম দিনের শুনানিতে ছিলাম না, একটু ঢাকার বাইরে যেতে হয়েছিল। আজ উপস্থিত ছিলাম। এর আগে, চলচ্চিত্রের কয়েকটি বিষয়ে আইনি লড়াইয়ে শামিল ছিলেন, জানালেন এই আইনজীবী অভিনেতা।
এর আগে, আমান রেজা একাধারে সর্দার সানিয়াত, অনন্য মামুন, লামিয়া মিমো, লিনা ও ফখরুল আরেফিন খানের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া লাইভ টেকনোলজির আইনি পরামর্শক ও আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
পরীমণির জামিন পাওয়া না পাওয়া প্রসঙ্গে আমান বলেন, ‘তিনি যদি দোষী না হন তাহলে জামিন আজ হোক কাল হোক পাবেনই। আমরা আমাদের আইনি প্রক্রিয়া যথার্থভাবে চালিয়ে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, আমান রেজা চলচ্চিত্রে এসেছেন অনেকটা হঠাৎ করেই। ২০০৮ সালে পল্টনের এক স্টুডিওতে ফটোগ্রাফার এল কে লিটনের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রযোজক গোলাম মোরশেদের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর পরিচালক হাফিজ উদ্দিনের ছবি ‘সেই তুফান’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন।
আমান ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে এলএলএম পড়েছেন। মালয়েশিয়ায় তার নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে, দেশে আইন ব্যবসায়েও নিজেকে জড়িত করতে আগ্রহী তিনি। আমানের বাবা আবু নাসের একজন ব্যবসায়ী । মা জাহানারা বেগম যশোর জেলার একজন বিচারক পদে কর্মরত।