মুক্তির অপেক্ষায় তথ্যচিত্র ‘নয়নতারা: বিয়ন্ড দ্য ফেয়ারি টেল’। অধীর প্রতীক্ষায় পরিচালক-নায়িকা নয়নতারা স্বয়ং। সেই অপেক্ষার আনন্দে জল ঢেলে দিলেন আর এক দক্ষিণী অভিনেতা ধানুষ। তার অভিযোগ, তথ্যচিত্রে তিন সেকেন্ডের জন্য ধানুষ প্রযোজিত ছবি ‘নানুম রাউডি ধান’-এর ছোট্ট অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন নয়নতারা। অভিনেতার দাবি, বিনা অনুমতিতে ঝলকটি নাকি ব্যবহার করেছেন তিনি। এর পরেই তাকে ১০ কোটি টাকার আইনি নোটিস পাঠান প্রযোজক-অভিনেতা। রবিবার খোলা চিঠিতে তারই জবাব দিলেন নায়িকা। প্রকাশ্যে ধনুষের চরিত্রের দিকে আঙুল তুলেছেন ‘জওয়ান’-এর নায়িকা!
মাত্র তিন সেকেন্ডের ঝলকে ১০ বছরের পুরনো ছবির কতটাই বা দেখা যায়? খোলা চিঠিতে প্রথম প্রশ্ন এটাই ছিল নায়িকার। সেই প্রসঙ্গ টেনে তাঁর বক্তব্য, “আপনি নিজেকে যতটা দেখান ততটা আপনি মোটেই নন। কারণ, নিজেকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাতে গিয়ে একটু বেশিই বলেন। এই তো আপনার চরিত্র!”
ক্ষুব্ধ নয়নতারার দাবি, ছবির প্রচারের সময় ধানুষ নিজের প্রকৃত রূপ অনেকটাই লুকিয়ে রাখেন। সহজ-সরল অনুরাগীদের সামনে যেটুকু তুলে ধরেন সেটা প্রকৃত ধানুষ নন। আইনি বার্তা তার প্রমাণ। নয়নতারা আরও লিখেছেন, গত ১০ বছর ধরে এই কাজটাই নাকি করে চলেছেন ধানুষ। কিন্তু আড়ালে ব্লকবাস্টার ছবি সম্পর্কে যা যা ভয়ঙ্কর মন্তব্য প্রযোজক-অভিনেতা করেছিলেন নায়িকা তার কিছুই ভোলেননি। ২০১৬ সালে এই ছবিটিই ধানুষের হাতে পুরস্কার এনে দিয়েছিল। সেই পুরস্কার মঞ্চে উঠেও নাকি প্রযোজকের উচ্ছ্বাসকে ছাপিয়ে গিয়েছিল তার অসন্তোষ!
এখানেই শেষ নয়। নায়িকার আরও অভিযোগ, “তিন সেকেন্ডের ঝলক দেখানোর অনুমতি চেয়ে কমবেশি আড়াই বছর লড়তে হয়েছে আপনার সঙ্গে। তার পরেও আপনার অনুমতি পাইনি! শেষে সমস্ত অংশ বাদ দিয়ে সামাজিমাধ্যম থেকে ছবির সামান্য কিছু অংশ নিয়েছিলাম। তাতেও এত কাণ্ড!” কটাক্ষে বিঁধতেও ছাড়েননি ধানুষকে। লিখেছেন, আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি এই ভুয়ো অভিযোগ আগামী ছবির প্রচারে কাজে আসবে। ধানুষ যেন এই তির সেই সময়ের জন্য যত্ন করে তুলে রাখেন। নয়নতারা এও জানিয়েছেন, কিছু মানুষ রয়েছেন, যারা অন্যকে ছোট করেই আনন্দ পান। প্রযোজক-অভিনেতা তাদের দলে। নয়নতারা তার তথ্যচিত্রে সেই সব মানুষের গল্প বলেছেন, যারা অন্যের সুখে সুখী।