ফাতেমাতুজ জাহরা ঐশী। কণ্ঠ দিয়ে জয় করেছেন অসংখ্য শ্রোতার হৃদয়। শিক্ষাজীবনের মধ্যেই পেয়ে গেছেন শিল্পীজীবনের অন্যতম প্রাপ্তি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ঐশী কখনো কারো ওপর রেগে কথা বলেন না সচরাচর। সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ঐশী নীরব ভূমিকা পালন করেন। কখনো উত্তেজিত হন না। তবে এবার ঐশীকে অন্য মেজাজে দেখা গেল।
ফেসবুকে ঐশী লিখেছেন, দুর্বল এবং ব্যর্থ মানুষের চিৎকার অনেক জোরে হয়। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আমরা ব্যাকবোনলেস শিল্পীরা একটা মর্যাদার আসনে আসীন হচ্ছি, এমন সময় শকুনের নজর কোনোভাবেই কাম্য নয়। শিল্পীসমাজের জন্য কে কী করতে পারে তার অজস্র প্রমাণ ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে । মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে কার কতটুকু অবদান আছে তার প্রমাণও রয়েছে। কালো বিড়াল কখনো ফর্সা হয় না। থলের বিড়াল থলে থাকাই ভালো।
রবিবার এই প্রতিভাময়ী শিল্পী বলেন, ‘চিৎকার করে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন হয় না, কাজে প্রমাণ করা লাগে। অসংখ্য মেরুদণ্ডহীন শিল্পী এর প্রমাণ অলরেডি পেয়ে গেছে। সুতরাং মেরুদণ্ডহীন শিল্পীদের দণ্ডের আর প্রয়োজন নেই।’
ঐশীর এই ছায়াসূচক কথার অর্থ ধরতে পারেননি অনেকেই। কণ্ঠশিল্পী সায়েরা রেজা এ বিষয়ে ঐশীকে প্রশ্ন করেন। ঐশী তখনই বিষয়টি খোলাসা করেন।
ঐশী বলেন, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আমার বয়স কিন্তু বেশি না। আমার এখন শেখার সময়। কিন্তু সম্প্রতি আমাদের কাজ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় স্ট্যাটাসটা দিয়েছি। আমরা নেগেটিভ কিছু শিখতে চাই না। কভিড-১৯ আসার পর ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকগুলো ভালো উদ্যোগ দেখেছি, কিন্তু সবই দেখলাম বাধার সম্মুখীন। তাহলে আমরা কাজ করব কিভাবে, শিখব কিভাবে।
ঐশী প্রশ্ন করেন, ‘নেগেটিভ শিক্ষা দিয়ে কি আমরা চলতে পারব? এ জন্যই মনের দুঃখে স্ট্যাটাসটা দিয়েছি, অন্য কিছু না। আশা করব সিনিয়ররা বিষয়টা বুঝতে পারবেন, আমাদের শেখার সুযোগ করে দেবেন। ‘