English

26 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
- Advertisement -

দীর্ঘ ধারাবাহিকে নায়িকা শাহনূর

- Advertisements -

সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের পরিচালনায় বৈশাখী টেলিভিশনের দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘জমিদার বাড়ি’ নাটকে অভিনয়ে যুক্ত হলেন চলচ্চিত্র নায়িকা শাহনূর। জমিদার বাড়ির ঘষেটি বেগম খ্যাত শম্পা রেজার বড় মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। নাটকের ৭০ পর্ব থেকে শানে নূর চরিত্রে প্রথম অভিষেক হয় তার। অভিষেকেই দর্শকদের নজর কেড়েছেন শাহনূর। নাটকের কোনো দজ্জাল চরিত্রে শাহনূরের অভিনয় এই প্রথম।

শাহনূর বলেন, একদিকে সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের মতো মেধাবী পরিচালক অন্যদিকে জনপ্রিয় গল্পকার টিপু আলম মিলনের গল্পই মূলত: এ নাটকে অভিনয়ের ব্যাপারে আমাকে আগ্রহী করে তুলেছে। আমার চরিত্রটিও বেশ মজার। জমিদার বাড়ির বড় মেয়ে হিসেবে আমার খবরদারি সবার চক্ষুশূলে পরিণত হবে। ঈর্ষায় জ্বলবে সবাই।

বৈশাখী টেলিভিশনের তারকাবহুল এ ধারাবাহিক নাটকটিপ্রচার হচ্ছে সপ্তাহে তিনদিন প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহষ্পতিবার রাত ৯টা ২০ ও ১১.৩০ মিনিটে। অভিনয় করেছেন মনোজ সেন গুপ্ত, শম্পা রেজা, আ খ ম হাসান, নাদিয়া মীম, শিল্পী সরকার অপু, সুব্রত, মোমেনা চৌধুরী, মিলন ভট্ট, সিফাত, ইমতু, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গল্প: টিপু আলম মিলনের গল্পে নাটকের সংলাপ- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন সাজ্জাদ হোসেন দোদুল । প্রযোজনা: এশিয়াটিক মাইন্ড শেয়ার।

নাটকের কাহিনী বলতে গিয়ে বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, জমিদারী প্রথা শেষ হয়েছে সেই কবে। ভগ্নপ্রায় জমিদার বাড়ীগুলো এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত। জমিদারী প্রথা শেষ হলেও বংশ পরম্পরায় তাদের ঠাট-বাঁট, আচার-আচরণ, চলন-বলন এখনো রয়ে গেছে। নদী মরে গেলে যেমন তার বাঁক রয়ে যায় তেমনি জমিদারী শেষ হলেও তাদের শরীরে রয়ে গেছে জমিদারী রক্ত। জমিদারী রক্তের কারণেই অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না, আশপাশের মানুষকে তাচ্ছিল্য করে, ঘৃনার চোখে দেখে। তাদের চলন বলনে মনে হয় এখনও তারা জমিদার বহাল আছেন, সমাজের সবাই তাদের আগের মতোই সম্মান করবে, কুর্নিশ করবে। তারা মানতেই চায় না এ এক নতুন সমাজ , তাদের জমিদারী আজ আর নেই। কিন্তু তা না থাকলে কি হবে, জমিদারী প্রথার মতোই শ্রেনী বৈষম্য এখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। নব্য সমাজ প্রতিভূ জমিদারদের দাপটে সুন্দর সমাজ আজ ক্ষতবিক্ষত। সমাজের নানা অসংগতিগুলোই ওঠে এসছে নাটকের গল্পে।

তিনি আরো বলেন, নাটকের মূল উপজীব্য ভগ্নপ্রায় মির্জা জমিদারের বাড়ী। এলাকার মানুষের কাছে এ বাড়ীটি এখনো অনেক বিস্ময়। প্রচুর ধন সম্পদ আর প্রাচুর্যেও কারণে এলাকার মানুষের কাছে তাদের অনেক সম্মান। উপর থেকে এই জমিদার বাড়ীর যতই চাকচিক্য থাক ভিতরে ভিতরে ফাটল ধরে গেছে। জমিদার রমজান মির্জা মারা যাবার সময় সমস্ত সম্পত্তি স্ত্রী রাবেয়ার নামে লিখে দিয়ে যান। রাবেয়ার তিন ছেলে- বাদশা, নবাব ও সম্রাট। গ্রামের মানুষ এটাও জানে-রাবেয়া মির্জা জমিদারের একক স্ত্রী নন, এক বাঈজীকে বিয়ে করেছে, তার ঘরেও আরো সন্তান আছে। এটা জানার পর ক্ষুব্ধ রাবেয়া মির্জা বিশ্বস্ত লোক দ্বারা জমিদার রমজান মির্জাকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করান। হত্যার আগে সব সম্পত্তি জোর করে নিজের নামে লিখিয়ে নেয়। জমিদারের মৃত্যুরহস্য আজও অজানা। কাহিনী যত এগিয়ে যাবে ততই উন্মোচিত হবে একের পর এক নাটকীয়তা। আমার লিখা অন্যান্য নাটকগুলোর মতো জমিদার বাড়ী নাটকটিও দর্শকপ্রিয়তা পাবে বলে আমার বিশ্বাস।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন