নাসিম রুমি: দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে দিলদারের তুলনা তিনি নিজেই। সিনেমার দুঃখ ভোলানো মানুষ তিনি।
পর্দায় তাকে দেখে হাসবেন না এমন দর্শক পাওয়া কঠিন। যতক্ষণ তিনি অভিনয় করবেন, ততক্ষণই মুগ্ধ হয়ে সবাই শুধু তাকেই দেখবেন।
বলছি দিলদারের কথা। ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘হাসির রাজা’খ্যাত এই অভিনেতার জন্মদিন শনিবার (১৩ জানুয়ারি)।
১৯৪৫ সালের এই দিনে চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। আর ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই ৫৮ বছর বয়সে তিনি জীবনের মায়া কাটিয়ে চিরদিনের মতো পৃথিবী ত্যাগ করেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী রোকেয়া বেগম এবং মাসুমা আক্তার ও জিনিয়া আফরোজ নামে দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন।
দিলদার এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনা বাদ দিয়ে দেন। ১৯৭২ সালে ‘কেন এমন হয়’ নামের সিনেমা দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন দিলদার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। দুর্দান্ত অভিনয় দিয়ে হয়ে ওঠেন দর্শকপ্রিয় অভিনেতা।
দিলদারের তুমুল জনপ্রিয়তা দেখে তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমা। এটি দর্শকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। এতে দিলদারের নায়িকা ছিলেন নূতন।
চলচ্চিত্রে সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়ে গেছেন- ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’সহ আরও অনেক জনপ্রিয় সিনেমা।
দিলদার সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হন।