আবারও আলোচনায় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তবে কোনো সিনেমা বা প্রেম নয়, এবার রাজনীতির কারণে আলোচনায় উঠে এসেছে এই অভিনেত্রী। গত বছর (২০২১ সালে) বিধানসভা নির্বাচনের আগে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে, হয়েছিলেন প্রার্থী। তবে বিজয়ী হতে পারেননি। এরপর গত নভেম্বরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে বিজেপি ছাড়েন শ্রাবন্তী। তার অভিযোগ, বাংলার (পশ্চিমবঙ্গের) উন্নয়নের জন্য বিজেপি আন্তরিক নয়।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শ্রাবন্তী বহরমপুরে পৌরসভার ভোট উপলক্ষে তৃণমূল প্রার্থীর রোড শোতে অংশ নেন। সেখানেই জানালেন, জোড়াফুলেই আছেন তিনি।
ওইদিন (বুধবার) বহরমপুর পৌরসভার ৭, ১৪, ১৫, ২৫ ও ২৮ নং সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট প্রচারে যোগ দেন শ্রাবন্তী। পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত দাস ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রিতা হালদারের ভোট প্রচারের সভায় অভিনেত্রী পৌঁছাতেই এলাকাবাসী উলুধ্বনি দিতে শুরু করেন।
এ সময় শ্রাবন্তী জানান, বহরমপুরে প্রথম প্রচারে এসে খুব ভাল লাগছে, ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে শহরের মানুষের। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে এদিন সন্ধ্যায় বহরমপুরের খাগড়ার নেতাজি মোড়ে যুব তৃণমূল রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ প্রচার সভায় উপস্থিত হন। পৌরসভার ৬, ১১, ১২ ও ১৩ নম্বরসহ শহরের আরও তিনটি স্থানে সভা করেন তিনি। প্রচারের মধ্যেই যুব তৃণমূলের সভানেত্রী জানান, বহরমপুরের মানুষ বোধহয় একটু কম বিশ্বাস করে তৃণমূলকে। ফলে আগের বার ঘাসফুল শিবিরকে ভোট দেননি। কিন্তু মমতা ব্যানার্জীর একের পর এক উন্নয়নে এবার মানুষ দুই হাত ভরে ভোট দেবেন বলে বিশ্বাস সায়নীর।
বিরোধীদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সায়নী জানান, কারও সম্পর্কে কথা বলে এক্সট্রা মাইলেজ দিতে চাই না। মমতা ব্যানার্জীর সরকার মাঠে কাজ করছে। তার ফল অবশ্যই পাওয়া যাবে। বিভিন্ন সভায় জনজোয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে যুব নেত্রী জানান, তার জন্য জনজোয়ার নয়, এ সবই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ার।