রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই বলিপাড়ার খবরের শিরোনামে আছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা।
তার আত্মহত্যার পিছনের মূল কারণ খুঁজতে এখন তোলপাড় চলছে দেশটিতে। গণমাধ্যমের খবরে এরই মধ্যে উঠে আসছে নানা গল্প। অভিযোগের তীর প্রেমিক শেজানের দিকেই। তার সঙ্গে প্রেম ভাঙার কারণেই এই অকালমৃত্যু এমনটাই মনে করছে তুনিশার পরিবার ও অনুরাগীরা। গুঞ্জন উঠেছিল, অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তুনিশা, তার মধ্যেই বিচ্ছেদ হওয়ায় অবসাদে ছিলেন অভিনেত্রী। তাই আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হন।
যদিও তুনিশার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সাফ বলা হয়েছে শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে তার। মরদেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই।
রিপোর্টে তুনিশার সন্তানসম্ভাবনার কোনও প্রমাণও পাওয়া যায়নি। প্রয়াত অভিনেত্রীর মায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রেমিক-অভিনেতা শেজানকে। আদালত তার দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশও দিয়েছেন। পুরো বিষয়টাই এখন তদন্তাধীন।
এর মধ্যেই এবার তুনিশার মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সোজা সাপ্টা জবাব কিংবা ব্যতিক্রমী মন্তব্যে সব সময়ই শিরোনামে থাকেন কঙ্গনা। তুনিশার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার আর্জি এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে।
অভিনেত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুরুষদের বহুগামীতা ও মহিলাদের ওপর অ্যাসিড আক্রমণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনার অনুরোধ জানিয়েছেন। যেভাবে ভগবান কৃষ্ণ দ্রৌপদীর বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছিলেন, রাম সীতার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেইভাবে মোদীকে প্রতারিত নারীদের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন ‘মণিকর্ণিকা’-র অভিনেত্রী।
কঙ্গনা লিখেছেন, “একজন নারী ভালবাসায় বিচ্ছেদ, বিবাহ বিচ্ছেদ, সম্পর্কের টানাপড়েন সহ্য করতে পারেন, কিন্তু এটা কখনওই মানতে পারেন না, তার ভালবাসা মিথ্যা ছিল। ভালবাসার নাম নিয়ে তাকে ঠকানো হয়েছে। এই সম্পর্কের বিপরীতে যে পুরুষ থাকেন তিনি ওই নারীকে ঠকানোর উদ্দেশ্য নিয়েই সম্পর্ক তৈরি করেন। তাই বিচ্ছেদে তার কোনও ক্ষতি হয় না। একমাত্র নারীরাই মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।”
এই ধরনের প্রতারণাকে খুনের সমান অপরাধ বলেও মনে করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তুনিশা শর্মা, ছোট পর্দার সম্ভাবনাময়ী একজন অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি নিয়মিত অভিনয় করছিলেন ‘আলি বাবা দাস্তান-ই-কাবুল’-এ। ২৪ ডিসেম্বর সেই সেটেই সহ-অভিনেতার সাজঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।