স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণের জেরে স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী চড় মেরে বসেন জায়েদ খানকে। চড়ের পর ওমর সানীকে পিস্তল বের করে মারার হুমকির ঘটনা কানে এসেছে বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের। তিনি বললেন, ‘তার (জায়েদ খান) কাছে কে পিস্তল দিল? মানে পিস্তল রাখার সৌভাগ্য তার কীভাবে হলো? কীইবা সে ব্যক্তিত্ব? কত টাকার মালিক যে তার আত্মরক্ষার জন্য আর্মস দিতে হবে সরকারের। এটা আমার কাছে দুর্বোধ্য লাগে।’
এ রকম ঘটনা আগে কখনো ঘটতে শুনেছিলেন? প্রশ্ন ছিল কাজী হায়াতের কাছে। ‘চলচ্চিত্রে এর আগে টুকটাক কিছু ঘটনা ঘটেছিল। এতটা বিস্তারিতভাবে কখনো জানিনি। এত ন্যক্কারজনক ঘটনা এর আগে কখনোই ঘটেনি। অবশ্য তখন গণমাধ্যমও এত বেশি ছিল না। তাই এই কাজের বাইরের ঘটনা প্রকাশিতও হয়নি। কোনো কিছু ঘটলেও সঙ্গে সঙ্গে সমাধান হয়ে গেছে। একে–অপরকে বন্ধু বলে জড়িয়ে ধরেছে। পরশ্রীকাতরতা সব সময় ছিল, কিন্তু এতটা উৎকটভাবে ছিল না।’ উত্তরে এভাবেই বললেন কাজী হায়াৎ।
অনেকের বক্তব্য, জায়েদ খানকে ঘিরেই কেন চলচ্চিত্রে বারবার এত ঘটনার জন্ম হচ্ছে। এসবের কি সুষ্ঠু কোনো স্থায়ী সমাধান নেই? ‘তার কাছে কে পিস্তল দিল? মানে পিস্তল রাখার সৌভাগ্য কীভাবে হলো? কীইবা সে ব্যক্তিত্ব? কত টাকার মালিক যে তার আত্মরক্ষার জন্য আর্মস দিতে হবে সরকারের। এটা আমার কাছে দুর্বোধ্য লাগে। চলচ্চিত্রে অনেকের পিস্তল আছে।’
চলচ্চিত্রের অনেকে বলে থাকেন, জায়েদ খান পিস্তল প্রদর্শন করেন। তাহলে তাঁর এই পিস্তল প্রদর্শনের মানসিকতাকে কী বলবেন? ‘পিস্তল শো করার ব্যাপারটা হ্যাডাম দেখানো। বোঝাতে চাওয়া, আমি সামথিং। একজন শিল্পী হলো সুন্দর মনের মানুষ। শিল্পের অলংকার। তার কাছে পিস্তল থাকাটা অস্বাভাবিক। থাকলেও হ্যাডাম দেখানো, শো করা উচিত না,’ বললেন কাজী হায়াৎ।
0 theke tk..hoiche mone hoy
জায়েদ খানের বিচার হওয়া উচিৎ