English

19 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

জায়েদ কীইবা এমন ব্যক্তিত্ব সে, কত টাকার মালিক? তার আত্মরক্ষার জন্য পিস্তল লাগে: কাজী হায়াত

- Advertisements -

স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণের জেরে স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী চড় মেরে বসেন জায়েদ খানকে। চড়ের পর ওমর সানীকে পিস্তল বের করে মারার হুমকির ঘটনা কানে এসেছে বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াতের। তিনি বললেন, ‘তার (জায়েদ খান) কাছে কে পিস্তল দিল? মানে পিস্তল রাখার সৌভাগ্য তার কীভাবে হলো? কীইবা সে ব্যক্তিত্ব? কত টাকার মালিক যে তার আত্মরক্ষার জন্য আর্মস দিতে হবে সরকারের। এটা আমার কাছে দুর্বোধ্য লাগে।’

চড় ও পিস্তল–কাণ্ডে কাজী হায়াৎ বললেন, ‘এটি একটি অসভ্যতা ছাড়া আর কিছু না। থাপ্পড়, মারামারি, নারীদের উত্ত্যক্ত করা, তারপর পিস্তল বের করা—সব মিলিয়ে এটাকে অসভ্যতা বলা ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছে না।’
কাজী হায়াতের কাছে প্রশ্ন ছিল, এ ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে? ‘অস্থিরতা, চলচ্চিত্রে কাজ নেই। এরা কেউই কাজের লোক না, পিঠ চুলকানোই এদের স্বভাব। পরশ্রীকাতরতায় ভরা। আর যার জীবনে সাকসেস না থাকে, সে পরশ্রীকাতরতায় ভোগে। অন্যের সফলতাকে সে হজম করতে পারে না। এই হচ্ছে এখনকার সমস্যা,’ বললেন কাজী হায়াৎ।
কথায় কথায় কাজী হায়াৎ উদাহরণ টেনে এনে বললেন, ‘এমনকি আমি পরশ্রীকাতরতায় ভুগতে দেখেছি স্বয়ং সত্যজিৎ রায়কেও। কিন্তু সেটার মধ্যে শালীনতা ছিল। যখন গৌতম ঘোষদের মতো পরিচালকেরা ছবি বানাচ্ছিলেন, ভালো ভালো ছবি বানাচ্ছিলেন। তখন সত্যজিৎ রায়কে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘ইদানীংকালের ছেলেরা অনেক ভালো ভালো ছবি বানাচ্ছে। আপনার কী মনে হয়? তখন তিনি বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, শুনেছি, কিছু ছেলে ছবি বানাচ্ছে।’ অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, এর মধ্যে একটা পরশ্রীকাতরতা ছিল।
কিন্তু তিনি শালীলতা বজায় রেখে সেটা বলেছিলেন। তার সেই পরশ্রীকাতরতায় শালীনতা ছিল, ডিউ টু তার এডুকেশন। এডুকেশনলেস পিপলদের কাছ থেকে পরশ্রীকাতরতা ভিন্নভাবে বেরিয়ে আসে। পরশ্রীকাতরতা থেকে জন্ম হয় প্রতিঘাত, আর প্রতিহিংসা থেকে প্রতিঘাত। চড় ও পিস্তলের কাণ্ডে সেটাই ঘটেছে।’
এ রকম ঘটনা আগে কখনো ঘটতে শুনেছিলেন? প্রশ্ন ছিল কাজী হায়াতের কাছে। ‘চলচ্চিত্রে এর আগে টুকটাক কিছু ঘটনা ঘটেছিল। এতটা বিস্তারিতভাবে কখনো জানিনি। এত ন্যক্কারজনক ঘটনা এর আগে কখনোই ঘটেনি। অবশ্য তখন গণমাধ্যমও এত বেশি ছিল না। তাই এই কাজের বাইরের ঘটনা প্রকাশিতও হয়নি। কোনো কিছু ঘটলেও সঙ্গে সঙ্গে সমাধান হয়ে গেছে। একে–অপরকে বন্ধু বলে জড়িয়ে ধরেছে। পরশ্রীকাতরতা সব সময় ছিল, কিন্তু এতটা উৎকটভাবে ছিল না।’ উত্তরে এভাবেই বললেন কাজী হায়াৎ।
অনেকের বক্তব্য, জায়েদ খানকে ঘিরেই কেন চলচ্চিত্রে বারবার এত ঘটনার জন্ম হচ্ছে। এসবের কি সুষ্ঠু কোনো স্থায়ী সমাধান নেই? ‘তার কাছে কে পিস্তল দিল? মানে পিস্তল রাখার সৌভাগ্য কীভাবে হলো? কীইবা সে ব্যক্তিত্ব? কত টাকার মালিক যে তার আত্মরক্ষার জন্য আর্মস দিতে হবে সরকারের। এটা আমার কাছে দুর্বোধ্য লাগে। চলচ্চিত্রে অনেকের পিস্তল আছে।’
চলচ্চিত্রের অনেকে বলে থাকেন, জায়েদ খান পিস্তল প্রদর্শন করেন। তাহলে তাঁর এই পিস্তল প্রদর্শনের মানসিকতাকে কী বলবেন? ‘পিস্তল শো করার ব্যাপারটা হ্যাডাম দেখানো। বোঝাতে চাওয়া, আমি সামথিং। একজন শিল্পী হলো সুন্দর মনের মানুষ। শিল্পের অলংকার। তার কাছে পিস্তল থাকাটা অস্বাভাবিক। থাকলেও হ্যাডাম দেখানো, শো করা উচিত না,’ বললেন কাজী হায়াৎ।

2 মন্তব্য

Notify of
guest
2 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
ML Rahman
ML Rahman
2 years ago

0 theke tk..hoiche mone hoy

মুহিব
মুহিব
2 years ago

জায়েদ খানের বিচার হওয়া উচিৎ

Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন