‘এমন একটি চরিত্র, যে স্বপ্ন ও বাস্তবের পার্থক্য করতে পারে না। তালগোল পাকিয়ে ফেলে। এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করা কঠিন।’— এক দমে বলে গেলেন নাজিয়া হক অর্ষা। প্রসঙ্গ, জাহান। আতিক জামান পরিচালিত এ ওয়েব ফিকশনের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্ষা। সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি-তে এসেছে ‘জাহান’। অর্ষার চরিত্রের নামও তাই।
চরিত্র প্রসঙ্গে অর্ষা আরও বলেন, ‘জাহান’র অভিজ্ঞতা ভীষণ পেইনফুল। মনস্তাত্বিক জায়গা অন্ধকারাচ্ছন্ন। আমাকে ওজন বাড়াতে হয়েছে। জাহান-কে ঘুমের ওষুধ খেতে হয়। তাই ঘড়ি ধরে সে ঘুমায় না। যার প্রভাব স্বাস্থ্যে দেখা যায়। আমাকে চুলের স্টাইল বদলাতে হয়েছে, ‘জাহান’ হয়ে ওঠার জন্য। অনেক প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। এ চরিত্রে অভিনয় এক্সাইটিং ছিল সন্দেহ নেই।’
‘জাহান’র জন্য দর্শকের প্রতিক্রিয়া চোখে পড়েছে অর্ষার। অধিকাংশই ইতিবাচক। তিনি জানান, বেশ ভালো সাড়া মিলছে। এতটা আশা করিনি। ওটিটিতে বিভিন্ন শ্রেণির দর্শক আছে। প্রায় সবার কাছ থেকে ‘জাহান’র জন্য প্রশংসা এসেছে।
অন্যান্য কাজ প্রসঙ্গে অর্ষা জানান, দীপ্ত প্লে’র জন্য একটি সিরিজের কাজ করছি। পরিচালনা করছেন আবু হায়াত্ মাহমুদ। নাম ‘হূদমাঝারে’। খুবই সাদামাটা চরিত্র। আহামরি কিছু নয়। এ ছাড়া আরও দুটো কাজ আছে সামনে। এক্ষুণি বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না।
অর্ষা বেছে বেছে কাজ করেন, বিষয়টি প্রায় প্রতিষ্ঠিত। তাই তাকে হরদম পর্দায় দেখা যায় না। তার ভাষ্যে, আমি ক্যারিয়ারের শুরুতে যখন নাটক করতাম, তখনও কম কাজ করতাম। এখনও তাই করছি। দর্শক যদি প্রতিটি মাধ্যমে আমাকে দেখে তাহলে চরিত্রগুলো আলাদা করতে পারবে না। তাদের মনে হবে অর্ষাকেই দেখছি।
অর্ষা বলেন, ‘একটি চরিত্রে কাজ করার পর তার রেশ থেকে বের হতে আমার সময় লাগে। একের পর এক কাজ করতে পারি না। একটি কনটেন্টের চরিত্র ধারণ করতে সময় লাগে। সাধারণত গল্পে নারী চরিত্র শো-পিস হিসেবে থাকে। নারীপ্রধান গল্প ইদানিং হচ্ছে। যেগুলোতে আমার চাওয়া মিলে যায় সেগুলোতে কাজ করি। আমি গল্পের মানের প্রতি মনোযোগ দিচ্ছি, সংখ্যার দিকে নয়।’
এদিকে, অর্ষার ভীষণ ইচ্ছে মঞ্চে কাজ করার। সুযোগ হয়ে ওঠেনি কখনো। সময় দিতে পারবেন কি-না সন্দিহান অর্ষা। তবে, যদি এর মাঝেও সুযোগ মিলে তিনি মঞ্চে কাজ করবেন।