এর আগে দুপুরে তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ হাজির করা হয়। পরে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তার আগে দুপুর ১২টার দিকে মাহিয়া মাহিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার মাহি ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন জিএমপির বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রোকন মিয়া।
মামলায় মাহির বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে মানহানিকর তথ্য প্রচার করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। আর তার স্বামী রকিব সরকারের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের জমি দখল, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে মাহিয়া মাহির স্বামী গাজীপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা রকিব সরকারের একটি গাড়ির শো-রুমে হামলা ও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। নগরীর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের পূর্বপাশে সনিরাজ কার প্যালেস নামে ওই শো-রুমে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ফেসবুক লাইভে আসেন মাহি।
কয়েক মাস আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ (গোমস্তাপুর-নাচোল-ভোলাহাট) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় আসেন মাহি। এলাকায় গণসংযোগও করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের মনোনয়ন পাননি এই ঢাকাই নায়িকা।
মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব সরকার আওয়ামী লীগের আগের কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গেও তিনি সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।