ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় নায়িকা রিয়ানা রহমান পলি। ক্যারিয়ারে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকদের নজর কাড়েন তিনি। বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরেই রয়েছেন পলি। রুপালি পর্দায় তাকে এখন দেখা না গেলেও চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা মেলে তার।
এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন পলি। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিএফডিসিতে অনুষ্ঠিতব্য এই সমিতির নির্বাচনে ২৪৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জয়লাভ করেছেন তিনি। সভাপতি প্রার্থী কামাল মো. কিবরিয়া লিপুর প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেন এই নায়িকা।
জানা গেছে, দেশের চলচ্চিত্র শিল্প সংশ্লিষ্টদের সংগঠন বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচনে ২৬৬ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন সামসুল আলম। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সভাপতি প্রার্থী কামাল মো. কিবরিয়া লিপু পেয়েছেন ২০৪ ভোট।
এদিকে জয়ে পেয়েই দেশের এক গণমাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন পলি। উচ্ছ্বসিত হয়ে চিত্রনায়িকা বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় ব্যক্ত করতে পারব না। টানটান উত্তেজনায় নির্বাচনটি হয়েছে। ভেবেছিলাম এমন হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতায় জয় পাব না।
আমায় দোয়া এবং ভালোবাসায় রেখেছে ভোটাররা। এ জয়ে আমি অনেক খুশি। ভোটারদের প্রতি অফুরান্ত ভালোবাসা। এই এক বছর ভালো কাজ করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ভোটের আগে পলি বলেছিলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে ক্লাবটির আরও উন্নয়ন করবেন। নিকেতন থেকে ক্লাব গুলশান-বনানীর মতো জায়গায় নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান।
সেখানে আরও সুন্দর পরিবেশ এবং একটি বাড়ি নিয়ে পুরো ক্লাব সাজানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বাচ্চাদের খেলাধুলার স্থান এবং বড়দের জন্যও বিলিয়ার্ড খেলার স্থানও থাকবে।
এ ছাড়া বড় কনফারেন্স রুম এবং রেস্টুরেন্ট তো থাকবেই। সুযোগ পেলে রাতারাতি ক্লাবের পরিবর্তন আনতে চান পলি। নির্বাচনের আগে তার দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
পলি বলেন, আমি লিপু ভাইয়ের প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছি। কিন্তু সামসুল আলম ভাইয়ের প্রথম প্রযোজিত ও পরিচালিত সিনেমার নায়িকা আমি।
তাদের দুজনেরই সিনেমা করেছি। মালাবদলের নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই। আলম ভাইয়ের প্রতি সম্মান ছিল, আছে ও থাকবে। আমরা একসঙ্গে মিলেমিশে ক্লাবটি আরও এগিয়ে নেব। আশা করছি, তারাও আমাকে সহযোগিতা করবেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিএফডিসিতে বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে অনুষ্ঠিত হয় প্রযোজক সমিতির এই নির্বাচন।