এ কে আজাদ: শিবলি সাদিক। চলচ্চিত্র পরিচালক। চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা ও অভিনেতা। সামাজিক-সুন্দর ছবি নির্মাণের অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। মিস্টি গল্পের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাণে ছিলেন বেশ পারদর্শী । দর্শকনন্দিত ও ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র নির্মাণের তিনি ছিলেন নিপুণ কারিগর। মেধাবী সৃজনশীল এই পরিচালক, সুন্দর সুন্দর সব চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন একের পর এক। স্বনামখ্যাত ও জননন্দিত চলচ্চিত্র পরিচালক শিবলি সাদিক-এর মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
ব্যবসাসফল ছবি’র এই গুণি নির্মাতা দীর্ঘদিন রোগে ভোগে ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে বিনম্র শ্রদ্ধায় তাঁকে স্মরণ করছি। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
শিবলি সাদিক ১৯৪১ সালের ৯ জানুয়ারি, রাজশাহীর মঙ্গলবাড়িতে, জন্মগ্রহন করেন। তিনি বি.এফ.এ ডিগ্রি শেষ করে, মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘তালাশ’ ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন।
১৯৬৭ সালে, সৈয়দ মোহাম্মদ আউয়াল এর সাথে যৌথভাবে ‘বালা’ (উর্দু) ছবিটি নির্মানের মাধ্যমে তিনি চিত্রপরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
শিবলি সাদিক আরো যেসব ছবি পরিচলনা করেছেন- ‘শীত বসন্ত’, ‘জীবন নিয়ে জুয়া’, ‘নোলক’, ‘রেশমী চুড়ি’, ‘তিন কন্যা’, ‘নীতিবান’, ‘ভেজা চোখ’, ‘দুর্নাম’, ‘দোলনা’, ‘অর্জন’, ‘সম্মান’, ‘অচেনা’, ‘মা মাটি দেশ’, ‘দংশন’, ‘ত্যাগ’, ‘অনুতপ্ত’, ‘খুনী আসামী’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘বদ সুরত’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘পাহারাদার’, ‘বিদেশিনী’ ও ‘শবনম’ (মুক্তিপায়নি) ।
শিবলি সাদিক ছিলেন একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা ও অভিনেতা।
তিনি অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার।
একজন সুন্দর মনের অনুসরণীয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব শিবলি সাদিক, শারীরিকভাবে চলে গেছেন কিন্তু রেখে গেছেন তাঁর কর্ম ও জীবন। তাঁর চিন্তা-চেতনা। তাঁর আদর্শ।
চলচ্চিত্রের সাথে সংশ্লিষ্টরা যতবেশী শিবলি সাদিকের মতো পরিচালক-ব্যক্তিত্ব তথা মানুষকে অনুসরণ করবেন এবং তাঁর কর্ম নিয়ে করবেন চর্চা, ততবেশী সমৃদ্ধ হবে আমাদের চলচ্চিত্রশিল্প।
একজন আদর্শবান ভালো মানুষ হিসেব সুপরিচিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক শিবলি সাদিক। অনন্তলোকে তিনি ভালো থাকুন এই কামনা করি।