এ কে আজাদ: জাকীর হোসেন। চলচ্চিত্রগ্রাহক। বহু বাণিজ্যসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক । বিখ্যাত সব চিত্রপরিচালকদের সাথে কাজ করেছেন তিনি। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের কাছে একজন নিভৃতচারী ভালো মানুষ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন তিনি। আমাদের চলচ্চিত্রভুবনের একজন গুণী চলচ্চিত্রগ্রাহক জাকীর হোসেন এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
প্রয়াত চিত্রগ্রাহক জাকীর হোসেন-এর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
জাকীর হোসেন ১৯৪৮ সালের ৮ ডিসেম্বর, কুড়িগ্রামের রাজার থানার চান্দামারি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
চিত্রগ্রাহক জিয়ারত হোসেন রাজু, জালাল উদ্দিন ও চিত্রসম্পাদক জিন্নাত হোসেন জিন্নাহ তাঁর ভাই।
১৯৬৬ সালে সহকারী চিত্রগ্রাহক হিসেবে এফডিসি’তে যোগ দেন জাকীর হোসেন। পরবর্তিতে অনেক বিখ্যাতসব চিত্রগ্রাহকদের সাথে কাজ করেছেন।
একক চিত্রগ্রাহক হিসেবে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র ’জিঘাংসা’ মুক্তিপায় ১৯৭৪ সালে, পরিচালক ছিলেন ইবনে মিজান। জাকীর হোসেন চিত্রায়িত অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বন্দুক, ওমর শরীফ, জংলীরাণী, রাজনর্তকী, সেলিম জাভেদ, আল-হেলাল, নাগরাণী, শাহী চোর, মহল, মুজাহিদ, হাতী আমার সাথী, শশীপুন্ন, মাটির কোলে, শান্তি অশান্তি, অমর, পরিবার, ভাই আমার ভাই, নি:স্বার্থ, কোহিনূর, জালিমের দুশমন, ভাবীর সংসার, রূপসী নাগিন, স্ত্রীর স্বপ্ন, পরিস্থান, গীত, বেদের মেয়ে জোসনা, চাকরাণী, গরীবের বন্ধু, জাদরেল বউ, নাচে নাগিন, বুকের ধন, রূপের রানী গানের রাজা, সত্যবাদী, ফাঁসির আসামী, বিদ্রোহী বধূ, নিষ্ঠুর, প্রেমগীত, বাঘা বাঘিনী, শিমুল পারুল, বাল্যশিক্ষা, পালকি, লাট সাহেবের মেয়ে, দুঃখিনী মা ইত্যাদি।
অত্যন্ত প্রচারবিমুখ, নিভৃতচারী একজন ভালো মানুষ ছিলেন জাকীর হোসেন। ছিলেন গুণী চলচ্চিত্রগ্রাহক।
কাজ করেছেন বিখ্যাত সব চিত্রপরিচালকদের সাথে, অনেক বাণিজ্যসফল চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক ছিলেন তিনি।
জাকীর হোসেন অনেকদিন আগে থেকেই গ্রামের বাড়িতে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছিলেন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পরলে, ঢাকায় এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। কুড়িগ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।