চলচ্চিত্র সংসদ কর্মী ও প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী টিনা খান-এর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৮৯ সালের ২০ জানুয়ারী, নগরবাড়ী ফেরিঘাটে সংঘটিত মর্মান্তিক এক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন । মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৭ বছর। অকাল প্রয়াত এই গুণী শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা। তাঁর আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থণা করি।
নায়িকা টিনা খান (ফিরোজা রহমান টিনা) ১৯৬২ সালের ২৫ মে, চুয়াডাঙ্গায় জন্মগ্রহন করেন। ছোটবেলা থেকে নাচ আর অভিনয়ের প্রতি ছিল তাঁর ভালোবাসা। অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রথমে মঞ্চ নাটকে অভিনয় শুরু করেন।
ঢাকায় এসে তিনি আবদুল্লাহ আল মামুনের নাট্যদলে যোগদান করেন। পরবর্তীতে, তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। নায়িকা হিসেবে তাঁর প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ছিল এহতেশাম-এর ‘বিমানবালা’ (অসমাপ্ত)।
এরপর তিনি যেসব ছবিতে অভিনয় করেন সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- মৌচোর, লাগাম, আল হেলাল, মধুমালতী, আলী আসমা, রজনীগন্ধা, গৃহলক্ষী, শাহীচোর, সোহাগ মিলন, ইজ্জত, ধর্ম আমার মা, ইন্সপেক্টর, সময় কথা বলে, প্রিন্সেস টিনা খান (প্রযোজনাও করেন), আশা নিরাশা, দুই জীবন, হাতকড়া, অগ্নিকন্যা, আয়না বিবির পালা, সহযাত্রী, এরই নাম প্রেম, একাই একশো, প্রভৃতি।
এই প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী টিনা খানকে নিয়ে আলমগীর কবির নির্মাণ করেছিলেন, ‘মণিকাঞ্চন’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
তাঁর প্রযোজিত ও অভিনীত, ১৯৮৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘প্রিন্সেস টিনা খান’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর, তিনি ‘প্রিন্সেস টিনা খান’ নামে বহুল পরিচিত লাভ করেন।
চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছিল যাত্রাশিল্পীদের জীবনকাহিনী অবলম্বনে। এই ছবি’র জন্য টিনা খান, বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কারে পুরস্কৃত হন। তাঁকে ত্রয়োদশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে জুরি বোর্ড-এর বিশেষ পুরস্কার (মরণোত্তর) প্রদান করা হয় ১৯৯০ সালে।
একজন সৃজনশীল গুণী অভিনেত্রী হিসেবে টিনা খান, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।