দেশের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী কুসুম সিকদার। দুই দশক ধরে শোবিজে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। ক্যারিয়ার শুরু করেন মডেল হিসেবে। ছোট ও বড় পর্দা মাতিয়েছেন অভিনেত্রী হিসেবে। পাশাপাশি নাচেও তিনি মন মাতিয়েছেন দর্শকের। বহু গুণে সমৃদ্ধ এই তারকা চমক দেখিয়েছেন গানেও।
অনেকদিন ধরেই এই তারকার কোনো কাজ পাচ্ছেন না তার ভক্তরা। সর্বশেষ তিনি আলোচনায় এসেছেন করোনা প্রকোপের শুরু থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই অভিনেত্রী ২০১৮ সালের ঈদে সর্বশেষ অভিনয় করেছেন টিভি নাটকে। আর বড়পর্দায় সর্বশেষ অভিনয় করেন ২০১৬ সালে ‘শঙ্খচিল’ সিনেমায়।
নতুন খবর দিলেন তিনি আসন্ন কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে। জানালেন, দীর্ঘ বিরতির পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন ‘লালটিপ’-খ্যাত এই অভিনেত্রী। কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি গানের ভিডিওতে মডেলও হয়েছেন কুসুম।
নতুন এ গানের শিরোনাম ‘মরীচিকা’। এতে কুসুম সিকদারের বিপরীতে মডেল হয়েছেন কাজী সাকিব। গানটি লিখেছেন কুসুম নিজেই। গানের টিউন ও কম্পোজিশন করেছেন মাহমুদ সানি। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন রায়হান খান।
কুসুম জানান, সম্প্রতি কক্সবাজার ও টেকনাফে গানটির ভিডিও চিত্র ধারণ সম্পন্ন হয়েছে।
এ অভিনেত্রী বলেন, ‘পেশাগত সংগীতশিল্পী না হলেও সংগীতকে ভালোবাসি বলেই এ ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। বেশ লম্বা একটা সময় পর সেই চেনা জগতে ফিরলাম। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অতীতের স্মৃতিগুলো মনে পড়ছিল। একসঙ্গে গান ও মডেল হতে গিয়ে নস্টালজিক হয়ে গিয়েছিলাম। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন সেই পুরোনো আমেজ, বেশ লাগছিল।মরীচিকা মেলো রক ধরনের গানটি শ্রোতা ও ভক্তদের ভালো লাগবে।’
২০১৭ সালে হৃদয় খানের সঙ্গে ‘নেশা’ নামের একটি গানে কণ্ঠ দেন কুসুম সিকদার। সেই গানের ভিডিও প্রকাশ হলে হৈচৈ পড়ে যায় নেট দুনিয়ায়। এরপর ২০২০ সালে ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা’র তৃতীয় আসরের এক প্রতিযোগীর সঙ্গে ‘তোমায় হৃদ মাজারে রাখিবো’ শিরোনামের একটি দ্বৈত গানে সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন কুসুম সিকদার। গানটির মিউজিক ভিডিওতেও উপস্থিত ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নজরুল অ্যাকাডেমিতে নজরুলসংগীত ও উচ্চাঙ্গসংগীতে তালিম নেয়া কুসুম সিকদার নজরুল অ্যাকাডেমিতে কোর্স শেষ করেও ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ ও ওস্তাদ মোরশেদের কাছে তালিম নিয়েছেন। লাক্স-চ্যানেল আই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গানে আর নিয়মিত তাকে পাওয়া যায়নি। অভিনয়ই তখন তার পেশা হয়ে দাঁড়ায়।
কুসুম সিকদারের প্রথম গানের একক অ্যালবাম ‘তুমি আজ কতো দূরে’ ১৯৯৯ সালে বাজারে আসে। পরে ২০০০ সালে মিক্সড অ্যালবাম ‘জীবনের যতো পাওয়া’ এবং ২০০১ সালে মিক্সড অ্যালবাম ‘অদল বদল’ বাজারে আসে।