হুমায়ূন আহমেদের ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির যে স্বপ্ন ছিল তা বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে। সম্প্রতি কানাডার একদল চিকিৎসক ও ব্যবসায়ী জানিয়েছেন তারা হাসপাতাল তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নিতে চান, যা একদম প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনায় রয়েছে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামের নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রয়াত নন্দিত কথাসাহিত্যিকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন।
তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদ যে ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেটা তার অনুপস্থিতে বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন কাজ। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো তার ডাকে অনেকেই সাড়া দিতেন। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের অনুপস্থিতে আমি বিভিন্ন জায়গায় মানুষের কাছে গিয়েছি, তবে সেভাবে সাড়া পাইনি।
এটি আমার একার পক্ষেও সম্ভব নয়। তবে আমার এখনও বিশ্বাস, লেখকের যে স্বপ্ন ছিল সেটি বাস্তবায়ন হবে। তবে আমার একটি পরিকল্পনা ছিল, লেখকের সৌজন্যে একটি জাদুঘর করার। যেটির প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে। এর নকশা করা হয়েছে, এটা বানাতে যে বাজেট প্রয়োজন সেটা জোগাড়ের চেষ্টা হচ্ছে, জাদুঘর হবে।
তিনি আরও বলেন, নেত্রকোণায় হুমায়ূন আহমেদের প্রতিষ্ঠিত যে বিদ্যালয় আছে, সেটি ফলাফলে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায়, খেলাধুলায় ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায়ও জেলার বিশেষ স্থানে রয়েছে বিদ্যালয়টি। সম্প্রতি সরকার বিদ্যালয়ে একটি চারতলা ভবন করে দিচ্ছে। আমরা এখন চেষ্টা করছি, প্রত্যন্ত গ্রামের এই বিদ্যালয়টিকে কলেজে পরিণত করার।
মেহের আফরোজ শাওন বলেন, নুহাশপল্লীর হুমায়ূন আহমেদের সমাধির কাছে আসলে যেমন মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ আছেন, তেমনি নুহাশপল্লীর পুকুর ঘাটে বসলে, ঘাসের ওপর হাঁটলে, গাছগুলোর কাছে গেলেও মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ আছেন আমাদের মাঝে।
এর আগে হুমায়ূন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে লেখকের নিজ হাতে গড়ে তোলা গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে কর্মরত কর্মচারী ও ভক্তদের নিয়ে সকালে লেখকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। পরে জন্মদিনের কেক কাটেন তিনি।