প্রিয়াংকা ইসলাম: কোলকাতার রিজিওনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২১ -এ এবার ‘চাঁদের আলো’ অর্জন করেছে মোট ৬ টি পুরস্কার। ফেস্টিভ্যালের ফোক সেকশনে শ্রেষ্ঠ পরিচালক হয়েছেন আকতারুল আলম তিনু,শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্র অভিনেতা অজিত দাস, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্র অভিনেতা শিখা কর্মকার, শ্রেষ্ঠ সিনেম্যাটোগ্রাফার অপু আহমেদ, শ্রেষ্ঠ মেক আপ আর্টিস্ট বাবু ইসলাম এবং ইন্সপিরেশনাল স্পেশাল এন্ট্রান্সে আহমেদ সাব্বির রোমিও শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন।
পরিচালক আকতারুল আলম তিনু বলেন, আপনার সবচেয়ে দুর্বল ছেলেটিও একদিন আপনার মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। এটি তার প্রমাণ। গত বছর শীতে আমরা বগুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শুটিং করেছিলাম গুণী লেখক আলী আজাদ রচিত ‘চাঁদের আলো’। বাজেট স্বল্পতা, নানাবিধ চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কাজটি শতভাগ মনের মত না করতে পারলেও আমাদের চেষ্টার কমতি ছিলনা। আজিত দাদা সরকারী চাকরি করেন। মিডিয়াতে একদমই নতুন তখন। তার একনিষ্ঠতা দেখেই মূলত সাহস নিয়ে কাজ শুরু করা। সত্যি সত্যিই তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে শুটিংয়ে পাক্কা অভিনেতার মত সবার মন জয় করে নিলেন। সাহস বেড়ে গেলো আমাদের।
শুটিংয়ে লারা লোটাস, সাব্বির আহমেদ , শিখা কর্মকার, আহমেদ সাব্বির রোমিও, শিখা খান, রেজাউল ইসলাম টুটুল , মকবুল , আনামত, লাভলু সহ সবাই নিজের বেস্ট টা দিয়ে অভিনয় করেছে। ভালোবাসার টানে আমাদের স্পটে ছুটে গিয়ে দুইটি ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌ শিখা ও নাফিজ প্রেম ।
অভিনয়শিল্পীদের পাশাপাশি আমাদের সিনেম্যাটোগ্রাফার অপু আহমেদ এর দুর্দান্ত ফ্রেমিং, বাবু ইসলাম এর ক্রিয়েটিভ মেকআপ কাজটিতে আলাদা মাত্রা যোগ করেছিলো। ব্যাবস্থাপক হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মতিউর রহমান মতি। প্রধান সহকারী পরিচালক সারিব হাসান এর তন্দ্রাহীন পরিশ্রম আর সহকারী পরিচারক মাসুদ রানার শ্রমের কথা ভোলার মত নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই এমন বিজয় এনে দিতে পারে। কৃতজ্ঞতা আয়োজকদের প্রতি।