প্রায় এক দশক আগে ‘লেডিস ভার্সেস রিকি বাহল’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল পরিণীতি চোপড়ার। ক্যারিয়ারের এই সময়ে লম্বা একাধিক সিনেমায় অভিনয় করলেও তার কোনো সিনেমাই বক্সঅফিসে তেমন ব্যবসা করতে পারছিল না। এতে হতাশায় পড়ে গিয়েছিলেন পরিণীতি।
তবে সম্প্রতি পরিণীতি ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। আর এতেই কান্না থামছে না অভিনেত্রীর। গত ১২ এপ্রিল ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে পরিণীতি অভিনিতে সিনেমা ‘চমকিলা’। সিনেমাটি মুক্তি পেতেই যেন ঘুরে গেল অভিনেত্রীর ভাগ্যের চাকা।
পঞ্জাবি গায়ক ‘অমর সিংহ চমকিলা’র জীবনীর ওপর নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এর মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ। অন্যদিকে সিনেমায় গায়কের স্ত্রী অমরজোৎ কউরের চরিত্রে দেখা গেছে পরিণীতিকে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, ২০১২ সালে যশরাজ ফিল্মসের প্রযোজনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইশকজাদে’। ওই সিনেমায় মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান পরিণীতি। নবাগত অর্জুন কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। তবে সিনেমাটি বক্সঅফিসে ভালো ব্যবসা করতে না পারলেও একাধিক পুরস্কার জিতে নিয়ে আলোচনায় চলে আসেন পরিণীতি।
এরপর ‘শুদ্ধ দেশি রোম্যান্স’, ‘হাসে তো ফাঁসে’র মতো রোম্যান্টিক ঘরানার সিনেমায় দেখা গেছে পরিণীতিকে। অভিনেত্রীর এই সিনেমা দুটি ভালো ব্যবসা করলেও ২০১৪ সাল থেকে তার ক্যারিয়ারের গ্রাফ নিম্নমুখী হতে শুরু করে।
পর পর বেশ কয়েকটি সিনেমা ব্যর্থ হওয়ায় রীতিমতো মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন পরিণীতি। শুধু অভিনয় নয়, গানেও বেশ পারদর্শী তিনি। তাই অভিনয়ের পাশাপাশি গানকেও পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেও নেটিজেনদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে।
মূলত আশির দশকে পঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক ছিলেন অমর সিংহ ওরফে চমকিলা। মাত্র ২৭ বছর বয়সে ভরা আসরে আততায়ীদের হাতে খুন হন তিনি ও তার স্ত্রী। এমনই এক চরিত্রকে নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন পরিচালক ইমতিয়াজ আলি।
আর সেই সিনেমায় গায়কের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছেন পরিণীতি। সমালোচক থেকে দর্শক, সবার প্রশংসায় ভাসছেন এই অভিনেত্রী। তবে অনেকেরই ধারণা— এই সিনেমার মাধ্যমেই যেন প্রত্যাবর্তন হলো পরিণীতির।
এদিকে সমালোচকদের উদ্দেশে পরিণীতি জানান, তিনি ফিরে এসেছেন। আর কোথাও যাচ্ছেন না। গান গাওয়ার সুযোগ আছে বলেই এই সিনেমায় অভিনয় করতে রাজি হয়েছিলেন তিনি। সবার প্রশংসা ও রিভিউ পেয়ে তিনি আপ্লুত। বলা যায়, কান্না থামছেই না তার। অবশ্যই সেটা খুশির অশ্রু।