নাসিম রুমি: ‘অনেক কষ্ট করে ঋতু এসেছে। আমাদের হয়তো মনে হচ্ছে, ও দেরি করল কেন! কিন্তু ও এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। আমার নিজেরও কিছু জরুরি কাজ ছিল, সেটা বন্ধ করে এসেছি। একটি উদ্দেশ্য তো অবশ্যই ঋতুপর্ণা।’—দীর্ঘদিন পর কাছের বন্ধু ঋতুপর্ণার সঙ্গে দেখা হওয়া প্রসঙ্গে কথাগুলো বলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।
গতকাল রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক হন তারা। কিংবদন্তি সুচিত্রা সেনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠিতব্য একটি চলচ্চিত্র উত্সবের সংবাদ সম্মেলনের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় এসেছেন ঋতুপর্ণা। একই আয়োজনে ছুটে যান বন্ধু ফেরদৌসও। সেখানে ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক বাংলা চলচ্চিত্র উত্সব’ শীর্ষক আয়োজনের পুরস্কার ট্রফিও উন্মোচন করেন ফেরদৌস-ঋতুপর্ণা।
এ সময় উত্সবের আয়োজকরাও উপস্থিত ছিলেন। প্রিয় বন্ধু প্রসঙ্গে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আজ আমি আরো আপ্লুত ও আনন্দিত, আমার প্রিয় বন্ধু ফেরদৌস এখন সংসদ সদস্য। আই এম সো প্রাউড অব হিম। অনেক কাজ করেছি একসঙ্গে, করছি, করব আগামীতে। তবে কাজের চেয়ে আমাদের বন্ধুত্বের জায়গাটা বড়। আমরা সবসময় আলোচনা করতাম, আরো ভালো কী কাজ করা যায়। ওর স্বপ্ন ছিল, সেটা পূরণ হয়েছে। আমার এই বন্ধুটি খুব ভালো মানুষ। আশা করি ও মানুষের জন্য অনেক ভালো কাজ করবে।’
বন্ধু ঋতুর মুখ থেকে প্রশংসা শুনে চুপ থাকেননি ফেরদৌসও। তিনি বলেন, ‘আসলে মানুষের কল্যাণের জন্য, সেবা করার জন্য যে মনের ইচ্ছা থাকতে হয় সেগুলোর অনেকটা শিখেছি ঋতুর কাছ থেকে। আমি বরাবরই ভাবতাম প্রত্যেকটা মানুষকে কীভাবে সে সহযোগিতা করে। প্রোডাকশনের কেউ অসুস্থ হলে, কেউ মারা গেলে, ও ছুটে যায়। বিভিন্ন সংগঠনের হয়ে কাজ করে। তার এসব দিক আমাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করেছে।’