আবারও বৈশাখী টিভি পর্দায় দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা রাশেদ সীমান্তকে। এবার তিনি অভিনয় করছেন চোরের ভূমিকায়। নাটকের নাম বাসর ঘরে চোর। ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখী টিভির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাত ৯টায় প্রচার হবে নাটকটি। মঈন খানের রচনা ও পরিচালনায় অন্যান্য চরিত্রে এনামুল হক হেলাল রত্না খান, সিদ্দিক মাস্টারসহ অনেকে।
গল্পে দেখা যাবে: শিরিনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার বিয়ে হচ্ছে চলছে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। শিরিনের মন খারাপ কারণ সে জামিল নামের একজন ছেলেকে পছন্দ করে।এমন সময় বাড়িতে চোর প্রবেশ করে। সবাই বিয়ে বাড়ির আয়োজন নিয়েও ব্যস্ত এই ফাঁকে চোর মানিক শিরিনের ঘরে ঢুকে বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে বস্তা বন্দী করে হঠাৎ চোর বুঝতে পারে শিরিন তার ঘরের দিকে আসছে তাই সে আত্মরক্ষার্থে খাটের নিচে ঢুকে যায়।
যেহেতু শিরিনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে হচ্ছে তাই শিরিন বিষ খেয়ে ঘরের মধ্যে আত্মহত্যা করতে যায়, খাটের নিচ থেকে যা দেখে অনেক ভয় পেয়ে যায় চোর মানিক এবং শব্দ করে ফেলে। শিরিন উঁকি দিয়ে দেখে খাটের নিচে চোর। শিরিন চোরকে বলে আমি তোকে বাঁচাবো যদি তুই আমাকে এখান থেকে পালাতে সাহায্য করিস এবং আমার ভালোবাসার মানুষের কাছে পৌঁছে দিস। চোর মানিক কোন উপায়ান্ত না দেখে রাজি হয় এবং শিরিনকে নিয়ে পালানো সিদ্ধান্ত নেয়। শুরু হয় তাদের জার্নি। শেষ পর্যন্ত কি মানিক পৌছে দিতে পারে শিরিনকে তার ভালোবাসার মানুষের কাছে? নাকি কোনো অঘটন ঘটে অসহায় শিরিনের?
তা জানতে হলে চোখ রাখতে হবে বৈশাখী টেলিভিশনের পর্দায় আগামী ২৭ ডিসেম্বর বৈশাখী টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাত ৯.০০টায় প্রচার হবে নাটকটি। চোরের ভূমিকা অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, শিরিনের চরিত্রে অহনা রহমান।
উল্লেখ্য, রাশেদ সীমান্ত হাতে গোনা যত নাটকে অভিনয় করেছেন তার প্রতিটিই দর্শক প্রশংসায় শীর্ষে রয়েছে। তার কোনো কোনো নাটকের ভিউ কোটির ঘরে। অতি অল্প সময়ে এত জনপ্রিয়তা টিভি নাটকে অন্য কোনো অভিনেতার বেলায় দেখা যায়নি বললেই চলে।
সৌখিন অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত পেশাগত জীবনে বৈশাখী টেলিভিশনের মার্কেটিং ইনচার্জ। দেশ-বিদেশের আপামর বাঙালি দর্শকদের ভালোবাসার কারণেই আজ তিনি একজন জনপ্রিয় অভিনেতার পরিচয় পেয়েছেন। যে কারণে তার অভিনয়ের প্রশংসা এখন হাটে-মাঠে-ঘাটে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। কাজের স্বীকৃতিও পেয়েছেন। দেশের সীমাবদ্ধ গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে।
রাশেদ সীমান্ত বলেন, মানুষের ভালোবাসাই আমার পরম পাওয়া। সকলের ভালোবাসা নিয়ে এভাবেই এগিয়ে যেতে চাই।