জয়া আহসান অভিনয় গুণে অনেক আগেই দর্শক, সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ঢাকা-কলকাতা দু’জায়গাতেই তিনি সমান সফল। সমাজ-সচেতন হিসেবেও জয়ার আলাদা পরিচয় রয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত এই চিত্রনায়িকা। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অংশগ্রহণ করে জয়া ইতোমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, ‘আমি একদিকে যেমন আনন্দিত, অন্যদিকে দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারবো ভেবে সম্মানিত বোধ করি।’
জয়া ইউএনডিপির সঙ্গে এসডিজি ছাড়াও অন্যান্য বিষয় যেমন দারিদ্র্য, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন, সহনশীলতা, পরিবেশ, জ্বালানি এবং লিঙ্গ সমতা বিষয়ে কাজ করছেন।
স্যোশাল মিডিয়াতেও সরব জয়া। নিয়মিত ছবি পোস্ট করে চমকে দেন নেটিজেনদের। সব মিলিয়ে ব্যস্ততা দেয় না অবসর। প্রতি বছর দুই ঈদে মেলে সেই কাঙ্ক্ষিত ছুটি। এ বছর ঈদ কেমন কাটলো এই অভিনেত্রীর?
জয়া বলেন, ‘আমি সবসময় ঢাকায় ঈদ করি। এবারো ঢাকায় ঈদ করেছি। পরিবারে সবার সঙ্গে ঈদের সময় কাটিয়েছি। এর চেয়ে স্পেশাল কিছু হয় না। একবার কলকাতায় ঈদ করতে গিয়ে কেঁদেছিলাম- মিষ্টি পোলাও আর মাটন খেয়ে। আমি আর ওই ঈদটা নিতে পারব না।’
‘ঈদ এবং পহেলা বৈশাখ দেশে ছাড়া কোথাও করতে ভালো লাগে না’ বলেন জয়া আহসান।
জয়া অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘ব্যাচেলর’ মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। তিনি ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে বিলকিস বানুর চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। এরপর এই নায়িকার ‘চোরাবালি’ও প্রশংসিত হয়। টানা দুইবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এদিকে টানা তৃতীয়বারের মতো ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার উঠেছে তার ঘরে। সর্বশেষ টলিউডের ‘বিনিসুতোয়’ সিনেমার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে এই পুরস্কার পান তিনি।