সুস্থ থাকতে সকাল সকাল দিনটি শুরু করার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু অনেকে ঘুমাতেই যান ভোরের দিকে। রাত জাগা এবং দেরি করে ঘুমোনো—এই অভ্যাস এক সময়ে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডেরও ছিল।
এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, সকাল সকাল বিছানা ছেড়ে ওঠার যে কী কষ্ট, তা আমি ভাল মতোই জানি! কিন্তু আলস্য কাটিয়ে ভোরে উঠে শরীরচর্চা করার সুফল কতটা, তাও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী। কীভাবে ভোরে ওঠা অভ্যাস করেছেন তিনি, সেই টিপ্সও দিয়েছেন।
অনন্যার কথায়, সকালে উঠে শরীরচর্চা করার জন্য কেবল শারীরিকভাবে ফিট থাকাই জরুরি নয়, মানসিকভাবে তরতাজা থাকাও দরকার। ভোরে উঠতেই হবে, এই লক্ষ্য যদি থাকে এবং উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা কম হয়, তা হলেই সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা সম্ভব হবে। সে জন্য আগে মনকে চাঙা করে তুলতে হবে।
ভোরে ওঠার কী টিপস দিলেন অনন্যা? চলুন জেনে নিই—
ঘুমোতে যাওয়ার আগে ধ্যান
রাতে তাড়াতাড়ি শুতে যেতেই হবে। আর ঘুমোতে যাওয়ার আগে অন্তত ১৫ মিনিটও যদি ধ্যান করা যায়, তা হলে শরীর ও মন তরতাজা থাকবে। দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠা যাবে অনেকটাই। দিনভর চিন্তাভাবনা, পরিশ্রমে শরীরের পাশাপাশি মনও ক্লান্ত থাকে। তাই ঘুম আসতে চায় না সহজে। ওই সময়টায় তাই অনেকেই টিভি দেখে, মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করে সময় কাটান। ফলে শরীরের বারোটা বাজে। তাই নিয়মিত ধ্যান করলে মন ফুরফুরে থাকবে, সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময়ে ক্লান্ত লাগবে না।অনন্যার কথায়, সকাল সকাল ওয়েট ট্রেনিং বা কার্ডিয়ো করতে হবে ভাবলেই আলস্য লাগবে। কিন্তু যদি শুরুতে গান চালিয়ে নাচ, সাইকেল চালানো, হালকা যোগব্যায়াম দিয়ে দিন শুরু করেন, তা হলে আলস্য লাগবে না। পারলে বন্ধুদের সঙ্গে প্রাতর্ভ্রমণে যান। সকলে মিলে হাঁটলে বা জগিং করলে মন ভাল থাকবে। শরীরচর্চা করতে হবে এই চিন্তায় উদ্বেগও বাড়বে না।
সকালে উঠেই ফোন দেখবেন না
হাত যতই নিশপিশ করুক, ঘুম থেকে উঠেই ফোন দেখার অভ্যাস বন্ধ করা জরুরি। চোখ খুলেই প্রথমে ধাতস্থ হয়ে নিন। তারপর পরিষ্কার হয়ে কিছুক্ষণ শরীরচর্চায় মন দিন। তারপরে ফোন দেখতে পারেন। কিন্তু ঘুম চোখ খুলেই ফোন ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করলে মানসিক চাপ আরও বাড়বে। তখন আর ব্যায়াম করতে ইচ্ছে হবে না।
নতুন নতুন ব্যায়াম শিখুন
একই ব্যায়াম করতে থাকলে একঘেয়েমি এসে যাবে। যদি মনে করেন পরদিন ভোরে উঠে নতুন কিছু শিখবেন, তা হলে আপনা থেকেই ঘুম ভাঙবে। যোগব্যায়ামের নতুন কোনো আসন অথবা নাচের নতুন কোনো স্টেপ শিখে অভ্যাস করুন। অনেকের সঙ্গে মিলে ছোটখাটো প্রতিযোগিতাও করতে পারেন, যে পরদিন ভোরে কতটা দৌড়বেন। তা হলে আনন্দও পাবেন, পাশাপাশি শরীরচর্চাও হয়ে যাবে।