বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পারদ বেশ উর্ধ্বমুখী। এসব এখন এফডিসি পেরিয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদটি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে হবেন–সেটা নির্ধারণ করবেন আদালত। বর্তমানে আদালত পদটিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত আসবে কে হবেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১০ ফ্রেব্রুয়ারি) আদালতের আদেশ অমান্য করেই সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন নিপুণ – এমন গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিশেষ একটি পক্ষ।
তিনি এই পদে নিজের নামে নেমপ্লেটও বানিয়েছেন বলে গুঞ্জন রটনাকারীদের দাবি। কিন্তু তাদের সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আপিল বোর্ডের রায়ে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নিপুণ বলেন, এগুলো মিথ্যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমি যেদিন আমি শপথ নেই, সেদিনই আমার নেমপ্লেটে তৈরি করা হয়েছিল। আর আজ আমি কোনো দায়িত্ব পালন করিনি। সমিতির একজন সদস্য হিসেবে সমিতিতে ছিলাম ছিলাম। আমরা সেখানে কোনো ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করিনি। কোনো মিটিংও করিনি। আমাদের প্যানেলের নির্বাচিতরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়েছি৷ কমিটির কেউ হিসেবে নয়, সমিতির একজন সদস্য হিসেবে এটা করেছি।
এছাড়াও সমিতির একজন সদস্য হিসেবে আজ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনূরের জন্মদিন উদযাপন করেছি। সব না জেনে যারা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন, গুজব ছড়াচ্ছেন, তারা নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন বলে আমি মনে করি।
নিপুণ আরও বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত যে রায় দেবেন, তার দিকেই আমি তাকিয়ে আছি৷ আমি একজন সচেতন নাগরিক, তাই আদালত অবমাননা করে ক্ষমতায় বসার কোনো কারণই নেই।
উল্লেখ্য, গেলো ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিকী নির্বাচন। এবার মিশা – জায়েদ প্যানেলের বিপক্ষে লড়াই করে কাঞ্চন – নিপুণ প্যানেল। সেখান থেকে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। ভোটের ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ জয়ী হলেও তার বিরুদ্ধে নির্বাচনবিধি না মানার অভিযোগ আনেন নিপুণ। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে আপিল বোর্ডের রায়ে নিপুণকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে সেই রায় অবৈধ দাবি করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ। সেখান থেকে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডের রায় স্থগিতের আদেশ আসে এবং জায়েদ তার পদে বহাল ঘোষিত হন। কিন্তু নিপুণ এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে ৯ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সেই স্থগিতাদেশ স্থগিত করে দুজনের পদই ১৩ তারিখ পর্যন্ত স্থগিত করেন আদালত। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির পর সিদ্ধান্ত আসবে কে হবেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।