বিশ্ব আমাদের সেটাই দেয় যেটা আমরা পরিচালনা করতে পারি। সম্ভবত আমাকে খুবই খারাপ মনে করে এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড। নিজের সাম্প্রতিকতম সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এমনটাই বলেছেন সাবেক মিস ইউনিভার্স সুস্মিতা সেন। কিন্তু হঠাৎ কেন এই পোস্ট, তা নিয়ে খোলসা করে কিছুই লেখেননিতিনি।
১৯৯৪ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে মিস ইউনিভার্সের মুকুল যার মাথায় উঠেছিল, তিনি বঙ্গতনয়া সুস্মিতা। কেবল বাংলা নয়, সারা ভারতের মাথা উঁচু করেছিলেন সুস্মিতা। প্রমাণ করেছিলেন নিজের জায়গা। বিশ্বের মঞ্চে ভারতকে তুলে ধরেছিলেন স্বমহিমায়। তিনি দেখিয়েছিলেন পথ। সেই তিনিই কিনা নিজেকে সবচেয়ে খারাপ বললেন পাবলিক ফোরামে।
চিরকালই স্পষ্টবক্তা হিসেবে পরিচিত সুস্মিতা। নিজের ইচ্ছার বাইরে এক পা হাঁটেননি কোনওদিন। যেটি ঠিক মনে করেছেন, সেটাই করেছেন। তাকে কী বলল, একবারের জন্যেও তা নিয়ে মাথা ঘামাননি অভিনেত্রী। তবে, বরাবরই পরিবারকে পাশে পেয়েছেন। সুস্মিতার সমস্ত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন তার অভিভাবক ও প্রিয়জনেরা।
মিস ইউনিভার্স হওয়ার পরই কন্যা রেনেকে দত্তক নিয়েছিলেন সুস্মিতা। মনের ভিতরে রাখা সুপ্ত ইচ্ছেকেই প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। বিয়ে না করে এই সিদ্ধান্ত। অনেকেই অবাক হয়েছিলেন সেসময়। তার অনেক বছর পর দ্বিতীয় কন্যা আলিশাকেও দত্তক নেন।
দুই কন্যার গর্বিত মা সুস্মিতা। তাদের নিয়েই জীবন সাজিয়েছেন। তাদের সঙ্গে ধীরে ধীরে বড় হয়েছেন সুস্মিতাও। মাঝে বহু প্রেম এসেছে, চলেও গেছে। প্রত্যেকবার প্রেমিকদের মুক্ত হাতে যেতে দিয়েছেন। সম্প্রতি প্রেমিক রহমান শোলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির খবর প্রকাশ্যে এনেছেন সুস্মিতা।
মন খারাপ হলেও বলেছেন, সম্পর্ক ভাঙলেও ভালবাসা ফুরিয়ে যায় না। সেই সুস্মিতা হঠাৎ কেন নিজেকে নিয়ে এমন কথা কেন বললেন, ভাবছেন অনেকেই। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘আরিয়া’ ওয়েব সিরিজ়ের দুইটি সিজ়নে অভিনয় করে দর্শকদের মনে ফের নতুন করে জায়গা করেছেন সুস্মিতা।