আমাকে মন্ত্রিত্ব দিতে হলে পুরো ক্ষমতা দিতে হবে―রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে এমনটাই বললেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। অভিনেতা ‘বীরত্ব’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত হয়েছিলেন। বিরতির ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন। এ সময় তিনি তাঁর রাজনৈতিক ভাবনা প্রকাশ করেন।
এমপি হওয়ার আগ্রহ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ খ্যাত অভিনেতা বলেন, ‘জাতীয় রাজনীতিতে যারা যুক্ত হয়েছে তারা কী করতে পেরেছে? জাতীয় রাজনীতিতে একটা এমপি হয়ে আমি কী করতে পারব? এটা আমার মাথায় আছে। আমি শুধু এমপি হওয়ার জন্য রাজনীতিতে যুক্ত হতে চাই না। জীবনে যদি সে রকম কোনো দায়িত্ব পাই তাহলে সেটা পালন করব। ’
আপনাকে যদি মন্ত্রী করা হয়? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘শুধু মন্ত্রী করলে হবে না, পূর্ণ ক্ষমতা দিতে হবে। বহু মন্ত্রী আছে তারা কিন্তু পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারে না। আমাকে মন্ত্রিত্ব দিতে চাইলে আমাকে ক্ষমতা অ্যাপ্লাই করার সুযোগ দিতে হবে। ’
রাজনীতি ছাড়া সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য এ অভিনেতার। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই আমার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছা রয়েছে। আমি যা চাই, দেশের মানুষ আমার কাছে যা চায় আমি তো করতে পারছি না তো। আমি দেখেছি, এই একটাই জায়গা আছে। রাজনীতি ছাড়া দেশকে, রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। ’
রাজনীতি করলে কোন অঞ্চল থেকে রাজনীতি শুরু করবেন, কোন দলের হয়ে রাজনীতি করবেন এমন প্রশ্নও করা হয় তাকে। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি জানি না, এসব আমার মনের ভাবনা। আমাকে আগে বহুবার বলা হয়েছে এমপি হওয়ার জন্য, এ জন্যই বলেছি একজন এমপি কী করতে পারে? কী করে এমপিরা? তাদের কী ক্ষমতা আছে? মানুষের আকাঙ্ক্ষা যদি পূরণ করতে না পারি তাহলে আমি এমপি হব না। ’
এ সময় ‘বীরত্ব’ চলচ্চিত্রের গল্প, নির্মাতা ও এর কলাকুশলীদের প্রশংসাও করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। ইমন, সালওয়া, ইন্তেখাব দিনার, আহসান হাবিব নাসিম, বড়োদা মিঠু ছাড়াও অভিনেত্রী নিপুণ অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রটিতে।