শুটিং চলাকালীন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বিস্ফোরণে আশনগকাজনকভাবে দগ্ধ হয়েছেন অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন অভিনেত্রীর স্বামী রাহাত কবির। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) মিরপুরে একটি টেলিফিল্মের শুটিংয়ের সময় এ ঘটনা ঘটে।
শারমিন আঁখিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের এইচডিইউতে সন্ধ্যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে- এমনটাই ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামান্ত লাল সেন জানিয়েছেন। ডা. সামান্ত লাল সেন বলেন, ‘রোগীর শ্বাসনালীসহ ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।’
আঁখির স্বামী নির্মাতা রাহাত কবির রবিবার দুপুরে বলেন, ‘অভিনেতা সজলের সঙ্গে একটি টেলিফিল্মের শুটিং ছিল মিরপুর সাড়ে এগারোতে। দুপুরের দিকে আঁখি মেকআপ নিয়ে ওয়াশরুমে যায় চুল ঠিক করতে। হেয়ার স্ট্রেইট মেশিন অন কিংবা অফ করতে গিয়ে এ ঘটনাটি ঘটে।’
তবে পুলিশের ধারণা, কেউ বডি স্প্রে ব্যবহার করেছে ওটার গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটতে পারে।
রাহাত আরও বলেন, ‘শুটিং হাউজটি সম্পূর্ণ নতুন। এটি এই হাউজের দ্বিতীয় কাজ। পেইন্টিংয়ের স্মেল থেকেও হতে পারে। তবে কেউ নিদিষ্টি করে কিছু বলতে পারছে না। বিস্ফোরণে বাধরুমের দরজা ভেঙে যায়। চিৎকার করে আঁখি বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে দুই হাত, পা ও কপালের একাংশ, চুলসহ ৩৫ শতাংশ বার্ন হয়ে যায়।’
গুরুতর কিছু আশঙ্কা করা যাচ্ছে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না জানিয়ে এই নির্মাতা বলেন, ‘এখনই বলা যাচ্ছে না। আজ ডাক্তার অনেকগুলো পরীক্ষা দিয়েছে। সেগুলোর ফলাফলের পর বলা যাবে পরিস্থিতি। হাসপাতালে প্রায় এক মাস থাকতে হবে। আর সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রায় এক বছর সময় লাগবে। সবার কাছে আঁখির জন্য দোয়া চাই।’
এক দশকেরও বেশি ধরে অভিনয় করছেন শারমিন আঁখি। চট্টগ্রামে বেড়ে ওঠা আঁখি’র মঞ্চে যাত্রা শুরু ‘অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়’র মধ্য দিয়ে। এই দলের নিয়মিত প্রযোজনা তারাসংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ নাটকের মূল চরিত্র ‘বসন’ করে আলোচনায় আসেন তিনি। পরবর্তীতে টিভি নাটকে কাজ করেও আলোচনায় আসেন তিনি।