অভিনেতা সৈয়দ আখতার আলী’র অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০১৩ সালের ২২ জুলাই, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। প্রয়াত এই গুণি অভিনেতার স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
সৈয়দ আখতার আলী ১৯৪১ সালের ১৭ অক্টোবর, আসামের ধুবড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। চারু ও কারুকলায় ডিপ্লোমা করেছেন তিনি।
‘নদী ও নারী’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্রে আগমন। সাদেক খান পরিচালিত ছবিটি মুক্তিপায় ১৯৬৫ সালে। সৈয়দ আখতার আলী অভিনীত অন্যান্য ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য- সেতু, সারেং বউ, কী যে করি, সূর্যদীঘল বাড়ি, বড় মা, এখনই সময়, প্রতিজ্ঞা, মানসী, ফেরারী বসন্ত, মেহমান, প্রতিহিংসা, সুরুজ মিঞা, বংশধর, রাস্তার রাজা, প্রতিঘাত, সোহরাব রুস্তম, চিত্রানদীর পাড়ে, ভয়ানক সংঘর্ষ, শ্যামল ছায়া, প্রভৃতি।
অভিনয়ের পাশাপাশি একসময় বেশ কিছু ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন সৈয়দ আখতার আলী। পরিচালক হিসেবেও নাম লিখিয়েছিলেন। একসময়ের জনপ্রিয় খলঅভিনেতা, জাম্বুকে নায়ক করে ‘নাবালক’ নামে একটি ছবি পরিচালনার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু সে ছবিটি আর শেষ করতে পারেননি ।
সৈয়দ আখতার আলী অসংখ্য ছবিতে ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ে করছেন। তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলো সবসময়, অসহায়-বঞ্চিত-লাঞ্ছিত আর শোষণে জর্জরিত মানুষের প্রতিবিম্ব ছিল। চেহারা ও শারীরিক গঠন এবং অভিনয় দক্ষতার কারনে নির্মাতারাও তাঁকে এমন চরিত্রেই বেশী নির্বাচন করতেন। আর তিনিও তাঁর অভিনয় প্রতিভার গুণে চরিত্রকে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলে সিনেমা দর্শকদের নজর কাড়তেন। মনে রাখার মতো কোনো চরিত্রে হয়তো তিনি কাজ করেননি! তবুও তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন।