নাসিম রুমি: সালমান খান বলিউডের চিরন্তন প্রেম। গত দেড় দশকে অ্যাকশন হিরো হিসাবেও তুমুল জনপ্রিয়তা ভাইজানের। মূলত কমার্শিয়্যাল সিনেমার সুপারস্টার হিসাবেই দর্শক চেনে সালমানকে।
তবে নিজের তিন দশকের ক্যারিয়ারে এমন কিছু সিনেমা করেছেন যা বক্স অফিসে সফল না হলেও দর্শক থেকে শুরু করে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে দাগ কেটেছে। যার অন্যতম সিনেমা ‘ফের মিলেঙ্গে’।
সেখানে এইচআইভি এইডস আক্রান্ত রোগীর চরিত্রেও অভিনয় করেছিলেন সালমান। সিনেমার সম্পতি প্রযোজক শৈলেন্দ্র সিং তার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে তিনি বলেছেন যে কীভাবে সালমান বিনামূল্যে এইচআইভি এইডস নিয়ে সিনেমা করেছিলেন যখন পুরো বলিউড কেউ কাজ করতে রাজি হয়নি।
ভিডিওতে শৈলেন্দ্রকে বলতে শোনা যায়, সালমান সিনেমাটির জন্য ১ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন এবং ক্লাইম্যাক্সে তিনি মারা যান। আমাদের গোটা ভারতের, বিশেষ করে যুবকদের জন্য এইডস বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতেই তিনি এই ছবিটি করেছিলেন, তবে আমি শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছিলাম যে সিনেমা সমাজের আয়না।
বলিউডের তরুণ প্রজন্মের আইকন সালমান খান। কিন্তু কল্পনা করুন, সালমান খানকে এইডসের মতো বিষয়ে একটি সিনেমা করতে রাজি করানো, যেখানে তিনি আসলে র্যাম্বো, টার্মিনেটর এবং ভারতের সুপারম্যান।
তিনি আরও উল্লেখ করেছিলেন, সিনেমার প্রধান অভিনেতা এইচআইভি আক্রান্ত হন এবং তারপরে ক্লাইম্যাক্সে মারা যান। এটাই প্রধান অভিনেতার প্লটলাইন। গোটা বলিউড ইন্ডাস্ট্রি না বলেছে। সেদিনই আমি সালমান খানকে ফোন করেছিলাম। এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে ক্লাইম্যাক্সে সালমানের মৃত্যু, স্পষ্টতই তার ভক্তরা খুশি ছিলেন না। কিন্তু সেই বার্তা পৌঁছে গেল গোটা দেশে।
উল্লেখ্য, সালমানকে সর্বশেষ মনীশ শর্মা পরিচালিত টাইগার থ্রি সিনেমাতে দেখা গিয়েছিল। ছবিটি আদিত্য চোপড়ার স্পাই ইউনিভার্সের একটি অংশ, যার মধ্যে রয়েছে ওয়ার ২, আলফা এবং পাঠান। অভিনেতাকে আগামীতে সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার অ্যাকশন-থ্রিলার সিকান্দারে দেখা যাবে।