জমে উঠেছে বৈশাখী টিভির সাত পর্বের ধারাবাহিক ‘সৌদি জামাই-বিদায় রজনী। সাজ্জাদ স্বপনের রচনায় ফজলুল হকের পরিচালনায় নাটকটি প্রচার হচ্ছে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে। অভিনয় করেছেন মীর সাব্বির, নাদিয়া আহমেদ, তারিক স্বপন, হান্নান শেলী, সাবেরী আলম, ফারজানা রিক্তা, আবদুল্লাহ রানা, রাইসা রিয়া ও শামীম প্রমুখ।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, সৌদি জামাই জগলুল খোশ মেজাজে গান গাইতে গাইতে নতুন বউ কবিতাকে নিয়ে ভ্যানে চড়ে বাড়ি ফিরছে। সাথে রয়েছে জগলুলের বন্ধু অলিউল্লাহ। অলিউল্লাহ বন্ধু জগলুলের ওপর রাগ করে সারটা পথ পটকা মাছের মতো গাল ফুলিয়ে বসে আছে। তার মন মেজাজ খারাপ থাকার কারণটা হচ্ছে- ফিরে আসার সময় জগলুল তার একমাত্র সুন্দরী শ্যালিকাটিকে সাথে আনেনি। কিন্তু জগলু অলিউল্লার রাগের কারণটি কিছুতেই বুঝতে চাইছিল না। অবশেষে কবিতা জগলুলকে বুঝিয়ে বলে- ‘তুমি যেমন নতুন বউ নিয়ে গান গাইতে গাইতে বাড়ি ফিরছ তেমনি অলি ভাইয়েরও নতুন বিয়াইন নিয়ে গান গাইতে গাইতে বাড়ি ফেরার ভীষণ শখ ছিল।’ এ কথা শুনে আফসোস করে জগলুল বলে- ‘ইস সি রে, ব্যাপারটা একদম মনে ছিল না।’ সাথে সাথে অলিউল্লাহ বলে- ‘তাতে কি ? এখন তো মনে পড়েছে? ভ্যানটা আবার ঘুরালেই তো সব ঝামেলা ক্লিয়ার হয়ে যায়।’ জগলু কিছুতেই আর ভ্যান ঘুরাতে রাজি হয় না। এই একটা কারণেই সারাটা পথজুড়েই দুই বন্ধুর খুনসুটি চলতেই থাকে।
ওদিকে জগলুর শ্বশুরবাড়ির এলাকার চেয়ারম্যান দ্বিতীয় বিয়ে করার পর থেকে প্রথম স্ত্রীর চোখ রাঙানিটা আরো খানিকটা বেড়ে গেছে। আর দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচী বেগমকে নিয়ে মনে মনে একটু ঝামেলাতেও আছেন তিনি। তার কাছে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর কথাবার্তা, আচার-আচরণে তাকে ভালোবাসে মনে হলেও মনের কোথায় যেন বলে উঠে- এলাচী বেগম আসলে তাকে ভালোবাসে না। অবশ্য ঘটনা সত্যও বটে। এলাচী বেগম ভালোবাসে চেয়ারম্যানেরই প্রাইভেট সেক্রেটারি হিরুকে।
এ দিকে হিরুর প্রতি চৌকিদার নিবারণের আবার বেজায় ক্ষোভ। তার কারণটা হচ্ছে প্রাইভেট চাকরি করে হিরু তার মতো একজন সরকারি চাকরিজীবীকে তুই তোকারি করে কথা বলে। নিবারণ হিরুকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছে- আপনি বলতে না পারলেও নিবারণকে যেন হিরু অনন্ত তুমিটা বলে। কিন্তু না, কোনোভাবেই নিবারণ হিরুকে তুই-তোকারি থেকে ফেরাতে পারে না। নিবারণ বুঝতে পারে হিরুর সাথে চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় স্ত্রীর একটা গোপন সম্পর্ক আছে। কিন্তু সব সময়ই সে তা অল্পের জন্য হাতেনাতে ধরতে পারে না।
এই নিয়ে মোটামুটি টম অ্যান্ড জেরির একটা খেলা চলতে থাকে হিরু আর নিবারণের সাথে। বাসর রাতের রোমান্টিক মুহূর্তে সৌদি থেকে জগলুর কফিলের ইমার্জেন্সি কল আসে। জগলুকে যত তারাতারি সম্ভব সৌদি আবর ফিরে যাওয়ার কথা বলে। বাসর রাতে এমন একটি কথা শুনে দু’জনেরই মন খারাপ হয়ে যায়।