বিখ্যাত সুরকার-সঙ্গীতপরিচালক মনসুর আলী’র ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ । তিনি ১৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ নভেম্বর, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। প্রয়াত এই গুণি সঙ্গীতজ্ঞের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
মনসুর আলী ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দে, মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী থানার, বাশঁগাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতার নাম ওস্তাদ শের আলী মিয়া (এই উপমহাদেশের প্রথম বাংগালী মুসলমান যন্ত্রশিল্পী ছিলেন)। তাঁর চাচা ওস্তাদ যাদব আলী এবং ওস্তাদ সাদেক আলী এই উপমহাদেশের প্রখ্যাত যন্ত্রশিল্পী ছিলেন। তাঁর বড় ভাই ধীর আলী মিয়া বাংলাদেশের খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। তাঁর চাচাতো ভাই আলাউদ্দীন আলী ছিলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয় সুরকার-সংগীত পরিচালক । তাঁর বড় ছেলে আলী আকবর রুপুও ছিলেন একজন জনপ্রিয় সুরকার-সংগীত পরিচালক। আরেক ছেলে, আলী আকতার রুনু (সংগীত পরিচালক), মেয়ে জাহানারা মনসুর (কন্ঠশিল্পী)।
বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ তিনি সমর দাসের সহকারী সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।
পরবর্তীতে তাঁর বড় ভাই ধীর আলী মিয়ার সঙ্গে জুটি হয়ে, ‘ধীর আলী মনসুর’ নামে একসাথে যে সব ছবিতে সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন – নাচঘর, উজালা, জোয়ার এলো, কাঞ্চনমালা, রহিম বাদশা ও রূপবান, দস্যুরানী, চম্পাকলি, তীর ভাঙা ঢেউ, শ্রীমতি ৪২০, কাঞ্চনমালা, একালের নায়ক, রাজমুকুট, কাজলরেখা প্রভৃতি ।
বাংলাদেশের সঙ্গীতের ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সদস্য, বিখ্যাত সুরকার-সঙ্গীতপরিচালক মনসুর আলী। সঙ্গীতজগতে নিজেও ছিলেন স্বনামখ্যাত জনপ্রিয় সুরকার-সঙ্গীতপরিচালক।
বাংলাদেশের সঙ্গীতে তাঁর পরিবারের সদস্যদের রয়েছে অনন্য অবদান। তিনি নিজেও তাঁর কর্মের মাধ্যমে, বাংলাদেশের সঙ্গীতকে করেছেন সমৃদ্ধ।
..নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম, বন্ধুর কাছে মনের খবর কেমনে পৌছাইতাম…- এই ধরণের অনেক কালজয়ী গানের সুরকার, মনসুর আলী।
বাংলা সঙ্গীতের এই বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, অবশ্যই স্মরণযোগ্য, বাংলাদেশের সঙ্গীতের ইতিহাসে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন