নাসিম রুমি: সায়মন- মাহির ”লাইভ” ৯ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে। ছবি মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশংসা করেন পরিচালক শামীম আহমেদ রনি। যাতে উপস্থিত ছিলেন ছবির
কলাকুশলীসহ শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক ণিপুন আক্তার।
‘মাহি, সাইমন ও আদর তিন জনের সঙ্গেই আমার প্রথম কাজ। মাহি-সাইমনের কাজ সম্পর্কে আমার আগে থেকেই ধারণা আছে। আদরকে শিবা শানু ভাইয়ের কথায় নেওয়া। ওকে নিয়ে আমার একটু ভয় ছিল। কিন্তু শুধু ও নয়, তিনজনই তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে ছবিটাতে অভিনয় করেছেন। মাহিকে এ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে শর্ত দেওয়া ছিলো ঘুমানো যাবে না, সে কিন্তু দুদিন না ঘুমিয়ে কাজ করেছে। কারণ না ঘুমানোর ফলে মানুষের চেহারা যেরকম হয় সেরকমটা আমাদের দরকার ছিলো। সে তার সর্বোচ্চ ডেটিকেশন দিয়েছে। আমি বলবো মাহি, সাইমন ও আদর তাদের সর্বোচ্চটা দিয়েছে এ ছবিতে’,— বলেন পরিচালক শামীম আহমেদ রনি।
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে মাহি বলেন, “শুটিংয়ের জায়গাটাকে পলিথিন দিয়ে এমনভাবে আইসোলোটেড করা হয়েছিলো যাতে আমরা নিঃশ্বাস নিতে না পারি। বেশ কষ্ট করে আমরা কাজটা করেছি। দুদিন ঠিকঠাক ঘুমাতে পারি নাই। টানা শুটিং করেছি। একটু ফাঁক ফেলে যে যার মতো করে ফ্লোরে ঘুমিয়েছি। যখন আমরা ক্যামেরার সামনে দাঁড়াই, একটা সংলাপ বলি- তখনই বুঝি একটা সিনেমা কেমন হবে। ওই জায়গা থেকে বলবো খুব ভালো ছবি ‘লাইভ’। আমার মনে হয় না এরকম কাজ আমি আগে করিছি।”
চার বছর পর সাইমনের ছবি মুক্তি পাচ্ছে। তিনি চেয়েছিলেন ছবিটা নিয়ে আরেকটু প্রচার-প্রচারণা হোক। তারপরও তিনি বলেন, ‘আমার এ মুহুর্তে ৮টি ছবি সেন্সর হয়ে রয়েছে। এর মধ্যে এটি অন্যতম ছবি, যেটি নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। অনেক ভালো একটা ছবি হয়েছে। এ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর অনেকেই আমাকে এতে অভিনয় করতে মানা করেছিল। তাদের যুক্তি ছিল, এ ছবিতে তোমার হিরোইজম দেখানো জায়গা নেই। কিন্তু আমি বলেছিলাম, আমি হিরোইজম চাই না, অভিনয়ের জায়গা আছে কিনা আমি সেটা চাই। আমি কৃতজ্ঞ পরিচালক আমাকে অভিনয়টা করার সুযোগ দিয়েছেন বলে। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন শাপলা মিডিয়া।