নাসিম রুমি: দেশের নাট্য জগতে বর্তমানে দুজন নাদিয়া খুবই পরিচিত মুখ। একজন হলেন নাদিয়া আহমেদ ওরফে বড় নাদিয়া, যিনি সেই আশির দশক থেকে এ জগতে কাজ করছেন। অন্যজন হলেন বর্তমান প্রজন্মের সালহা খানম নাদিয়া ওরফে ছোট নাদিয়া।
আজ বৃহস্পতিবার সেই বড় নাদিয়ার জন্মদিন। ১৯৮২ সালে তার জন্ম হয় ঢাকায়। জীবনের ৪১টি বসন্ত পেরিয়ে ৪২ বছরে পা দিলেন তিনি। তবে দিনটিকে ঘিরে নাদিয়া আহমেদের নেই তেমন কোনো পরিকল্পনা। প্রতি বছর পরিবারের সঙ্গে সাদামাঠা জন্মদিনই পালন করেন অভিনেত্রী।
নাদিয়া বলেন, ‘জন্মদিন সব সময়ই আমার জন্য বিশেষ একটা দিন। এই দিনে পরিবারের মানুষদের সঙ্গে, বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করি। জন্মদিনে কোনো কাজ করি না। আজ আমার মায়েরও জন্মদিন। তাই দিনটা আমার কাছে একটু বেশি স্পেশ্যাল।’
১৯৮৬ সালে বাংরাদেশ টেলিভিশন- বিটিভির শিশু অনুষ্ঠান ‘শিশুমেলা’ দিয়ে শোবিজ যাত্রা শুরু হয় নাদিয়া আহমেদের। ১৯৯২ সালে বিটিভির ‘বারো রকমের মানুষ’ ধারাবাহিকের ‘বৈচি’ চরিত্রের মাধ্যমে তিনি অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পান।
সেই থেকে টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করছেন নাদিয়া। নিজের সাবলীল অভিনয় দিয়ে বহু আগেই তিনি জয় করে নিয়েছেন দর্শকদের মন। এখনো অভিনয়ে তিনি ব্যস্ত ঠিক আগের মতোই। পাশাপাশি নাদিয়া একজন নৃত্যশিল্পীও।
নাদিয়া বরাবরই একটু ব্যতিক্রম ও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করেন। ক্যারিয়ারের উচ্চ শিখরে পৌঁছে অভিনয়ে আরও বেশি মনোযোগী হয়ে উঠা নাদিয়াকে নিয়ে তাই নির্মাতারাও বিভিন্ন ধরনের গল্পে কাজ করতে আগ্রহী।
ব্যক্তিগত জীবনে ২০০৮ সালে প্রথমে অভিনেতা মনির খান শিমুলকে বিয়ে করেন নাদিয়া আহমেদ। কিন্তু ২০১৩ সালের নভেম্বরে তাদের মৌখিক বিচ্ছেদ ঘটে। এর পরের মাসেই তাদের পাকাপাকি ডিভোর্স হয়ে যায়।
দীর্ঘদিন একা কাটানোর পর ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অভিনেতা এবং মডেল এফএস নাঈমকে বিয়ে করেন নাদিয়া। এর একদিন পর ১৬ জানুয়ারি গুলশান ক্লাবে নাঈম ও নাদিয়ার অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান হয়।