নাসিম রুমি: দেশের শোবিজের নন্দিত মডেল-অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ। তার রূপ এবং গুণের প্রশংসা শুধু তার ভক্ত-অনুরাগীরাই করেন না, শোবিজ দুনিয়ার সতীর্থরাও তার প্রশংসায় রীতিমতো পঞ্চমুখ। এ প্রজন্মের অনেক মডেল-অভিনেত্রীর কাছে আইকন মৌ।
ব্যক্তিজীবনে নন্দিত অভিনেতা জাহিদ হাসানের স্ত্রী মৌ। তাদের সংসার আলো করে রেখেছেন মেয়ে পুষ্পিতা ও ছেলে পূর্ণ। এবারে জন্মদিনে তেমন কোনও আয়োজন নেই। স্বামী ও মেয়ে-ছেলের সঙ্গেই কাটছে তার বিশেষ এই দিনটি। ১৯৮৯ সালে প্রথম মডেলিংয়ে পা রাখেন মৌ।
একটি শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনের জন্য সে সময় তার সঙ্গে রেকর্ড ১ লাখ টাকা পারিশ্রমিকের চুক্তি করা হয়েছিল। সেই থেকে এখন পর্যন্ত তিনিই বাংলাদেশের সর্বাধিক পারিশ্রমিক পাওয়া নারী মডেল। ৩৪ বছর ধরে দেশের শীর্ষ মডেল হিসেবে রাজত্ব করছেন মৌ।
একটিও বিশ্ব রেকর্ডই বটে। মডেল পরিচয়ের পাশাপাশি সাদিয়া ইসলাম মৌ একজন গুণী নৃত্যশিল্পী। ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে গানের অনুশীলনও করতেন তিনি। গানের চর্চা চালিয়ে গেলে হয়তো আজ সংগীতশিল্পী পরিচয়েও তাকে পাওয়া যেত। কারণ তার বাবা প্রয়াত সাইফুল ইসলাম ছিলেন জনপ্রিয় একজন সংগীতশিল্পী; ষাটের দশকে যাকে বলা হতো পূর্ব বাংলার ‘হেমন্ত’।
আঁকাবাঁকা, বাদশা, আপনজন’সহ বেশকিছু সিনেমাতে প্লেব্যাকও করেছিলেন সাইফুল ইসলাম। ১৯৯৫ সালের ৩ জুলাই প্রচারিত হয়েছিল সাদিয়া ইসলাম মৌয়ের প্রথম নাটক ‘অভিমানে অনুভবে’। যদিও অনেকটা জোর করেই তাকে অভিনয়ে রাজি করানো হয়েছিল। এমনকি শুটিং শুরু হবার দিন সকাল বেলাতেও পরিচালক-নাট্যকার ফারিয়া হোসেনকে মৌ অনুরোধ করেছিলেন, তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নেওয়ার জন্য।
ঢাকাই সিনেমাতেও তারকা-নির্মাতাদের প্রায় সবাই মৌকে চেয়েছিলেন সিনেমার জন্য। বলিউডের ‘সাজান’ সিনেমার রিমেক ‘স্বজন’ সিনেমাতেও তিনি প্রস্তাব পেয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে গেল এপ্রিলে মৌ গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমি যে ধরনের সিনেমা করতে চাই, সে ধরনের সিনেমা তখন অতোটা হতো না। তবে এখন হচ্ছে। গল্পপ্রধান, অভিনয় করার মতো চরিত্র পেলে অবশ্যই এখন সিনেমায় কাজ করবো।