English

21 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

১৫ কেজি ওজন ঝরালেন ঐন্দ্রিলা

- Advertisements -

লকডাউনে বাড়িতে বসে ওজন বেড়ে যাচ্ছিল ঐন্দ্রিলা সেনের। চার দিকে লাগাতার অসুস্থতা, মৃত্যুর খবরে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত নায়িকা শরীরচর্চার উৎসাহ পাচ্ছিলেন না। এ অবস্থায় একাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন ‘ম্যাজিক’ ছবিতে প্রশংসিত এ অভিনেত্রী।

তবে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলে মেদহীন ছিপছিপে চেহারায় আবারও তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। ৭১ থেকে এখন তার ওজন ৫৬ কেজি। তার এই পরিবর্তনে আপ্লুত প্রেমিক অঙ্কুশ হাজরাও । প্রেমিকাকে নিয়ে কতটা গর্বিত, দিন কয়েক আগেই ঘোষণা করেছেন ঘটা করে। প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনুরাগীরাও। কিন্তু যাকে নিয়ে এত চর্চা, সেই ঐন্দ্রিলা কী বলছেন? কেন হঠাৎ ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত?

ঐন্দ্রিলা জানান, ‘ম্যাজিক’-এর সময়ে খানিক ওজন কমেছিল ঠিকই। কিন্তু ঐন্দ্রিলা মনে করেছিলেন, টলিউডে মনের মতো চরিত্র পাওয়ার জন্য তা যথেষ্ট নয়। অগত্যা চলতি বছরের জুন থেকে শুরু করেন শরীরচর্চা। তিনি বলেন, জুন মাস থেকে আমি শরীরচর্চা শুরু করলাম। প্রথম দিকে খুবই কষ্ট হত। মিষ্টি খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দেই। অন্যান্য খাবারও খুব কম খেতাম। প্রথম দু’মাস কোনও ওজন কমেনি। সেই দু’মাস আমি কঠিন শরীরচর্চার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম।

১৫ কেজি ওজন কমাতে কোন ধরনের ডায়েট মেনে চলতে হয়েছে তা নিজেই জানালেন। ঐন্দ্রিলা বলেন, শরীরচর্চার সঙ্গেই খাওয়াদাওয়াতেও রাশ টানতে হয়েছিল তাকে। তবে মেনে চলেননি বাঁধাধরা কোনও ডায়েট। ১৪-১৬ ঘণ্টা উপোসের পক্ষপাতী ছিলেন না তিনি। তাই শরীরচর্চা প্রশিক্ষক তাকে দিনে খুব অল্প পরিমাণে ৬ বার খেতে বলেছিলেন। খাবারের তালিকায় বরাদ্দ ছিল কুসুম ছাড়া দিনে ৬টি ডিম সেদ্ধ। সকাল, দুপুর এবং রাতে দুটি করে ডিম খেতেন ঐন্দ্রিলা। দুপুরে সবজির স্যুপ, প্রোটিন শেক বা ফল। খিদে পেলে পেট ভরাতেন শশা খেয়ে। নৈশভোজে ফের থাকতো প্রোটিন শেক। এভাবে কিছুদিন চলার পর দুপুরে অল্প পরিমাণ ভাত খাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল ব্ল্যাক কফি, জুসের মতো পানীয়।

বেশ খানিকটা ওজন কমিয়ে ফেলার পর নায়িকা ছাড় পেয়েছেন এই কড়া ডায়েট থেকে। বাড়িতে মায়ের তৈরি খাবার খান তিনি। ইচ্ছে হলে মনের মতো মাছ বা মাংসের ঝোল আর ভাত দিয়ে সেরে নেন মধ্যাহ্নভোজ। কেক, প্যাস্ট্রির মায়া ত্যাগ করতে হলেও ফ্রিজে থাকে ডার্ক চকলেট। আর কফিতে সাধারণ দুধের পরিবর্তে ব্যবহার করেন কাঠবাদামের দুধ। চিনির পরিবর্তে গুড়। তবে সপ্তাহে একদিন ফুচকা না হলে ঐন্দ্রিলার চলে না।

নিজের বর্তমান চেহারা নিয়ে সন্তুষ্ট ঐন্দ্রিলা। তিনি বলেন, ওজন কমিয়ে আমি খুবই খুশি। অনেকেই বলছেন আমার চোখ-নাক-মুখ বদলে গিয়েছে। আমি নাকি প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছি। শরীরের মেদ কমলে মুখেরও মেদ কমে। ফলে চোখ-নাকের আকৃতিরও পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয়।

এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন ছোট পর্দায়। গত বছর ‘ম্যাজিক’ ছবিতেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। এর পরেও পেয়েছিলেন একাধিক ছবির প্রস্তাব। কিন্তু ওজনের কারণে সেগুলিতে অভিনয় করতে রাজি হননি ঐন্দ্রিলা। তিনি বলেন, দুই তিনটি ছবি আমি চেহারার জন্য ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু চাইনি এত বছর কাজের পর মানুষ ভাবুক, আমি কাজ করতে আগ্রহী নই। আমার কাছের মানুষরা সেই সময়ে আমাকে ওজন কমানোর জন্য উৎসাহ দিতেন।

ঐন্দ্রিলা বলেন, কোনও প্রযোজকের সঙ্গে দেখা হলেই তিনি বলতেন, ‘তোকে না ওজনটা একটু কমাতে হবে।’ আমি তাদের দোষ দেব না। আমরা এখনও নিজেদের তরফে এমন কোনো ছবি উপহার দিতে পারিনি, যা দেখে মনে হবে ওজনটা আসলে কোনো বিষয়ই না।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন