নাসিম রুমি: বলিউডের তারকা অভিনেতা হৃতিক রোশান। ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। আজ তার বয়স ৫০ বছর পূর্ণ হলো। সংখ্যায় বয়স বৃদ্ধি পেলেও শরীরে-মনে এখনো সজীব! বলা যায়, পঞ্চাশেও চালশে নন হৃতিক।
২০০০ সালে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে হৃতিক রোশানের। এটি পরিচালনা করেন তার বাবা রাকেশ রোশান। সিনেমাটিতে হৃতিকের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আমিশা পাটেল। হৃতিক-আমিশার এই সিনেমা ঝড় তুলেছিল দেশ ও দেশের বাইরে।
‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমা মুক্তির পর ৩০ হাজারের বেশি বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন হৃতিক। কপিল শর্মার শোতে গিয়ে এসব কথা জানিয়েছিলেন হৃতিক। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ মুক্তির পরই বিয়ের প্রস্তাবে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। ওই সিনেমা ছিল হৃতিক-আমিশা— দুজনেরই প্রথম সিনেমা। সেই সিনেমা হিট হতেই রাতারাতি নিজ পরিচয়ে পরিচিতি পান হৃতিক।
২০০০ সালের ১৪ জানুয়ারি মুক্তি পায় হৃতিক অভিনীত ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমা। অসংখ্য নারীর ভক্তের হৃদয়ে জায়গা করে নেন। কিন্তু একই বছরের ডিসেম্বরে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা সুজান খানকে বিয়ে করে ভক্তদের হৃদয় ভেঙে দেন হৃতিক।
‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতা এবং সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন হৃতিক। ২০০৩ সালে লিমকা বুক অব রেকর্ডসে স্থান পায় ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমার নাম। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক পুরস্কার ঝুলিতে ভরে রেকর্ড গড়েছিল হৃতিক অভিনীত এই সিনেমা। সব মিলিয়ে ১০২টি পুরস্কার জিতেছিল ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’। ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমা মুক্তির পর কেটে গেছে প্রায় ২৪ বছর। এখনো উজ্জ্বল হৃতিক।
হৃতিক তার অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে— ‘ধুম টু’, ‘যোধা আকবর’, ‘মিশন কাশ্মীর’, ‘কৃষ’, ‘কই মিল গায়া’, ‘ওম শান্তি ওম’ প্রভৃতি। এসব সিনেমা বক্স অফিসে বাম্পার ব্যবসা করে। পাশাপাশি সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়ান।
হৃতিকের পরবর্তী সিনেমা ‘ফাইটার’। অ্যাকশন ঘরানার এ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন হৃতিক রোশান ও দীপিকা পাড়ুকোন। এটি পরিচালনা করছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। আগামী ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পাবে সিনেমাটি।