দু বছর হলো তিনি ফেসবুক ও ইউটিউবের জন্য নির্মিত ভিডিও কনটেন্টে অভিনয় করতেন।তার কাছের বেশ কয়েকজন বন্ধু জানান, আমরিন কাজ শুরু করেন ২০১৩-১৪ সালের দিকে। কিন্তু তেমন কোনো ভালো কাজ পেতেন না বলে দীর্ঘদিন ধরে হতাশায় ছিলেন তিনি। নানাভাবে চেষ্টা করতেন ভালো কাজের।তার লক্ষ ছিলো দেশের একজন টপ মডেল হওয়া। জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর মঙ্গলবার মোহাম্মদপুরের শেখের টেকের ২ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে আদাবর থানা পুলিশ। লাশটি দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান দু-তিনদিন আগে আত্নহত্যা করেছেন তিনি। তবে লাশ পাওয়া যায় বিছানায় শোয়া অবস্থায়।
আদাবর থানার এসআই জাকির হোসেন বলেন, পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত ও পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আত্নহত্যার আলামত পাওয়া গেছে। হতাশা ও দাম্পত্য কলহ থেকে তিনি আত্নহত্যা করতে পারেন। আত্নহত্যার পর তার লাশ রেখে স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
জাকির হোসেন বলেন,‘সুমাইয়ার মা জানিয়েছেন দুই মাস হলো তার মেয়ে বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর থেকে কলহ চলছিল দুজনের।
পাশাপাশি মডেলিং নিয়ে হতাশা ছিল। সবমিলিয়ে আত্নহত্যা করতে পারেন। এর আগে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে আত্নহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’
এদিকে সুমাইয়া আমরিনের ফেসবুক আইডিতে পেশা হিসেবে আছে ‘ওয়ার্ক এট রানওয়ে বাই বুলবুল টুম্পা।’ বিষয়টি নিয়ে কথা হয় দেশের স্বনামধন্য কোরিওগ্রাফার বুলবুল টুম্পার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরিন করোনার আগে আমার এখানে এসেছিল। তবে আমার এখানে বা আমার সাথে কাজ করতো না। এরকম অনেকেই আসেন, দু একদিন কাজ ক্লাস করে চলে যায়। তাকে আমি সেভাবে চিনি না।’
জানা যায়, সাভারে তার মায়ের বাসায় তার লাশ দাফন করা হয়ে।
জানা যায়, সাভারে তার মায়ের বাসায় তার লাশ দাফন করা হয়ে।