বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গানটি দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে মাধুর্যমণ্ডিতরূপে তুলে ধরতে উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করেছে টিএম প্রোডাকশান্স। পুরো আয়োজনটির সহযোগিতায় ছিলো ই কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। সম্প্রতি মহান জাতীয় সংসদভবন প্রাঙ্গন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক শিখা চিরন্তনকে কেন্দ্র করে চিত্রায়িত হয়েছে এটি।
নতুন প্রজন্মের মাঝে নতুন আয়োজনে জাতীয় সংগীতকে ছড়িয়ে দেয়ার এ আয়োজন প্রসঙ্গে সরকারের আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, “আমাদের আইসিটি বিভাগের পরিকল্পনা ছিলো বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার পঞ্চাশবছর পূর্তিকে স্মরনীয় করে রাখতে পঞ্চাশজন শিল্পীর অংশগ্রহণে জাতীয় সংগীতটি নতুন করে তৈরি করার। যাতে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা যারা মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তাদের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় সংগীতকে ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে আরও সুন্দর করে তুলে ধরতে পারি। আমাদের এ উদেশ্যকে সফল করার জন্য সকল শিল্পীকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।”
জাতীয় সংগীতের এ আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের গুণী ও তারকা শিল্পীরা।
বৃহৎ এ আয়োজনে জাতীয় সংগীত কন্ঠে তুলে নিয়েছেন পঁচিশজন পুরুষ ও পঁচিশজন নারী কণ্ঠশিল্পী।
তারা হলেন- রফিকুল আলম, খুরশীদ আলম, ফকির আলমগীর, মাহমুদ সেলিম, হামিন আহমেদ, মাকসুদ, হাসান, এস আই টুটুল, সুজিত মুস্তাফা, বালাম, রবি চৌধুরী, মিজান, অর্ণব, মিলন মাহমুদ, আরিফিন রুমি, রাফা, অদিত, পারভেজ, মুন, শামিম, প্রিয়, হাসিব, এবিডি, পুলক।
শাহিন সামাদ, ফাতেমা তুজ জোহরা, আবিদা সুলতানা, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, শামা রহমান, ফাহমিদা নবী, দিলশাদ নাহার কাকলী, আঁখি আলমগীর, মেহরিন, রুমানা ইসলাম, তাশফি, লুইপা, দোলা, রেশমি, আনিকা, সিঁথি সাহা, সুনিধি নায়েক, টিনা রাসেল, অনিমা রায়, ঐশি, এলিটা, জুলি, আর্নিক, পুতুল, আয়শা মৌসুমী।
মহান জাতীয় সংগীতের নতুন সংগীতায়োজন প্রসঙ্গে কৌশিক হোসেন তাপস বলেন, “স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এই বিশেষ ক্ষণে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় সংগীত নির্মাণের এ দায়িত্বভার পাওয়া আমার জন্য সর্বোচ্চ সম্মান ও গর্বের। এতজন গুণী শিল্পীর সম্মিলনে গানটির নির্মাণ নি:সন্দেহে একটি ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।”
টিএম প্রোডাকশান্স-এর চেয়ারপার্সন ফারজানা মুন্নী জাতীয় সংগীত নির্মাণের এ কাজে প্রতিষ্ঠানটিকে যুক্ত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় ও প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে গানবাংলাসহ দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয় বর্ণাঢ্য আয়োজনের এ জাতীয় সংগীত।
গানের লিংক