English

33 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৮, ২০২৫
- Advertisement -

সুযোগ বুঝে আমাকে টেনে-হিঁচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে: মমতাজ

- Advertisements -

অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তবে শেষপর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসতে পারেননি তিনি। তাকে টপকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু।

পরাজয়ের পর অন্য প্রার্থীরা মুখ খুললেও চুপ ছিলেন মমতাজ। তবে নিজের নেতাকর্মীর গায়ে হাত তোলায় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে তার। নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়ে গর্জে উঠেছেন তিনি। দিয়েছেন হুঁশিয়ারি। প্রায় সময়ই নানা মন্তব্য করেছেন।

এদিকে সামজিক যোগাযোগ মাধম্য থেকে শুরু করে অনেক মিডিয়াতেই মমতাজকে নিয়ে নানা ধরণের অভিযোগ উঠছে। বিষয়গুলো নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন। ফেসবুকে তিনি এক স্ট্যাটস দেন যেখনে তিনি লিখেন, নিজের খ্যাতিটাও মাঝে মাঝে গলার কাঁটা মনে হয়। সুনাম নষ্ট হবে এই ভয়ে মুখ বুজে কত যে অত্যাচার সহ্য করতে হয় তা আমি আর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। যা কিছু অর্জন করেছি তা আমার অনেক কষ্টের অর্জন। মা বাবা পীর মুর্শিদের দোয়াও আছে। আমার এই অর্জনের পিছনে নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির হাত না থাকলেও আজ সেটাকে ধ্বংস করতে কতিপয় কিছু ব্যক্তি উঠে পড়ে লেগেছে।

এই কণ্ঠশিল্পী আরও লিখেন, যারা কোনোদিনই আমার সুনাম, খ্যাতি, অর্জন, ভালো থাকা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারে নাই, তবুও আমি আমার সাধ্যমতো তাদের কে সম্মান ও সহযোগিতা করে আসছি, কিন্তু লাভ হয়নি! সুযোগ বুঝে ঠিকই আমাকে টেনে হিচড়ে নিচে নামিয়ে দিচ্ছে।
কষ্টটা হলো আমি যা না, আমি যা করিনি সেই অপবাদ আমাকে দিচ্ছে শুধু মাত্র কিছু অর্থ স্বার্থের বিনিময়ে। আমি জানি সত্যটা ঠিকই একদিন এ দেশের মানুষ জানবে শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র। আল্লাহ তুমি এই স্বার্থপর মানুষ গুলো কে হেদায়েত দান করো।
প্রসঙ্গত, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন