২৬ মে দেশের প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রেসিডেন্টের পরিচালক ফজলুল হক এর ৯৪তম জন্মবার্ষিকী।
ফজলুল হক-এর জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেল ৫টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে রাবেয়া খাতুন ফাউন্ডেশন। ‘অগ্রপথিক : স্মরণে বরণে’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় ফজলুল হক-এর কর্মজীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করবেন দেশের বরেণ্য ব্যক্তিত্বরা।
এদিন বিকাল ৫টায় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ফজলুল হক ছিলেন একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও সাংবাদিক। জন্ম ১৯৩০ সালের ২৬ মে। ১৯৫০ সালে বগুড়া থেকে প্রকাশ করেন প্রথম চলচ্চিত্র বিষয়ক পত্রিকা ‘সিনেমা’। ১৯৫২ সালে ঢাকা থেকে সিনেমা পত্রিকাটি প্রকাশ করেন। ১৯৫৫ সালে ইনল্যান্ড প্রেস নামক একটি প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৫৯ সালের শেষের দিকে সিনেমা পত্রিকার শেষ সংখ্যাটি প্রকাশিত হয়। ১৯৬০ সালের ওবায়েদ উল হকের ছোট উপন্যাস চিত্রনাট্য রচনা করেন। পরে আজান নামে সেটি চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
১৯৬৬ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নামে একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন যেটি পুরস্কৃতও হয়েছিল। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংগঠক ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কথিকা লিখতেন। আকাশবাণী কলকাতায় পদ্মা-মেঘনা-যমুনা নামে নাটক রচনা ও পরিচালনা করেন। আকাশবাণীতে তিনি মণি হক নামে অনেক অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন। ১৯৭২ সালে তিনি বাংলা ভাষাকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে ঘড়ির ডায়ালে বাংলায় সময় লেখা ‘বাংলা ঘড়ি’ চালু করেন।
১৯৭৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় তার চলচ্চিত্র ‘উত্তরণ’ নামে, যেটি তিনি ১৯৬০ সালে ‘আজান’ নামে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি কলকাতায় বসবাস শুরু করেন। এখানে বসবাস কালে ‘চিত্রসারথী’ নাম নিয়ে দুটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এর মধ্যে একটি লোককাহিনিভিত্তিক চলচ্চিত্র সাতভাই চম্পা। ১৯৯০ সালের ২৬ অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে কলকাতার গোবরা কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। সহধর্মিনী প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন। তাঁর চার সন্তান শিশুসাহিত্যিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর, ফরহাদুর রেজা প্রবাল, বিশিষ্ট রন্ধনবিদ কেকা ফেরদৌসী, ফারহানা মাহমুদ কাকলী।