এবার সিনিয়র অভিনেত্রী সুচরিতার মন্তব্যের জবাবে মুখ খুললেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সুচরিতা বলেছিলেন, ‘সে (নিপুণ) চিত্রনায়িকা? নায়িকা হিসেবে ভিত্তিই তো করতে পারেনি এখনও। সে সমিতি চালাবে? কে সমিতি চালাবে? সে জানে কি সমিতির? নাই কাম নাই কাজ, কী করি খই ভাজ; এখন এ অবস্থা হয়েছে চলচ্চিত্রের। শুটিং নেই ফুটিং নেই, একটা কিছু নিয়ে থাকতে হবে তো। মা… গো… পাগল হয়ে গেলাম। আর এখন সন্দেহ আছে থাকব কিনা চলচ্চিত্র ইন্ডস্ট্রিতে।’
বিষয়টি নিয়ে নিপুণ বললেন, ‘আমি একটা বিষয়ে বিশেষভাবে বলতে চাই। সেটা হচ্ছে সুচরিতা আপার সঙ্গে আমার প্রথম ছবি করা হয়েছে। তিনি ওই ছবিতে আমার মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। উনাকে নিয়ে আপনারা এমন কিছু না লিখলে আমি খুশি হবো। কারণ আজকে আমি যে নিপুণ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি সে জায়গায় আসতে উনাদের অনেক বড় ভূমিকা আছে। উনারা আমাকে নিয়ে কথা বলতেই পারেন। এগুলো কোনো বিষয় নয়।’
আজ রবিবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে নায়িকা নিপুণ এসব কথা বলেন। নিপুণ আরও বলেন, এগুলো যদি আপনারা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেন তাহলে খারাপ প্রভাব পড়ে। এটা আমি চাই না। কারণ আমার প্রথম ছবিতে আমি নতুন ছিলাম ছিলাম। উনারা ছিলেন ওই ছবির অলংকার। সেদিন যদি তারা আমার পাশে না দাঁড়াতেন আমাকে সাপোর্ট না দিতেন তাহলে আমি এতোদূর আসতে পারতাম না। উনি আমার বিপরীত প্যানেলে আছেন অনেক সময় মুখ ফসকে অনেক কথা যদি বলে ফেলেন তাহলে সেটা প্রচার করা ঠিক না হবে না বলেই মনে করি আমি।’
উল্লেখ্য, এর আগে আজ দুপুরের পর জায়েদ খানকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রাখার হাইকোর্টের রায় চেম্বার আদালতে স্থগিত করা হয়। একইসঙ্গে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের জন্য এই পদে দায়িত্ব পালনের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করেছেন আদালত। ফলে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না কেউ। সেইসঙ্গে আবেদনটি ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। নায়িকা নিপুণের করা আপিলের শুনানি নিয়ে রবিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।