মাত্র ১৬ বছর বয়সে বাবা-মায়ের কাছে বায়না করেছিলেন ভারতে আসবেন। উদ্দেশ্য ছিল বলিউডের নায়ক সালমান খানকে বিয়ে করা। কিন্তু তার বাবা-মা বিষয়টাকে গুরুত্ব দেননি। তাই আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার নাম নিয়ে ‘পালিয়ে’ পাকিস্তান থেকে মুম্বাই আসেন তিনি।
তিনি হলেন সোমি আলি। সম্প্রতি বোম্বাই টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, সেই সময় ১৯৯১ সালে ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবি দেখে সালমানের জন্য পাগল হয়ে যান তিনি।
ভারতে এসে বলিউডে পা রাখেন। অভিনয় করেন সাইফ আলি খান এবং সুনীল শেঠির সঙ্গে। খুব অল্প সময় বলিউডে কাজ করেছেন সাবেক অভিনেত্রী সোমি আলি।
ভারতে আসার আগে তিনি বাড়িতে জানান, তাজমহল দেখতে চান। এরপরই পাকিস্তান থেকে সোজা মায়ামি। সেখান থেকে মুম্বাই। এরপরই ধীরে ধীরে অভিনয় জগতে প্রবেশ। মুম্বাইয়ে পৌঁছে পাঁচতারা হোটেলে থাকা শুরু করেন। ‘স্ট্রাগলিং অভিনেত্রী’ পাঁচতারায় এসে থাকেন, বলি-পাড়ায় তাকে নিয়ে হাসাহাসি চলত।
যদিও তিনি জানান, তার লক্ষ্য অভিনয় করা কোনও দিনই ছিল না। পর্দার প্রেমের ভালোবাসায় ভরে উঠবে তার জীবন, দু-চোখে এই স্বপ্নই ছিল ষোড়শী পাক তরুণীর।
মায়ামিতে থাকাকালীন সালমান খানের মা সালমা খানের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সোমির। পরবর্তীকালে সালমা খানের সূত্র ধরেই সালমানের সঙ্গে আলাপ হয় সোমির। এরপরই একে অপরকে আট বছর ডেট করেছিলেন দুজনে। যদিও দুজনের সম্পর্ক আর বেশি দূর এগোয়নি। ১৯৯৯ সালে সালমানের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ভাঙার বেশ কয়েক বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান সোমি। সেখানে নতুন করে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন। এরপর লেখিকা, সমাজকর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় করে তুলেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী।’
‘নো মোর টিয়ারস’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সোমি। কাজ করেন দক্ষিণ এশিয়ার পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে। তবে তার ব্যক্তিগত জীবন আজও অজানা। ৪৪ বছর বয়সী সোমি কী খুঁজে পেয়েছেন তার মিস্টার পারফেক্ট? এই উত্তরটা জানা নেই।