এ কে আজাদ: মিতা। নারায়ণ ঘোষ মিতা। চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও পরিবেশক। পারিবারিক-সামাজিক গল্পের বাণিজ্যসফল ছবি’র অসাধারণ এক গুণি নির্মাতা ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। তাঁর নির্মিত প্রতিটি চলচ্চিত্রই আলোচিত, সিনেমাদর্শক কর্তৃক প্রসংশিত ও জননন্দিত হয়েছে। বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণের এই অসাধারণ কারিগর এক সময় বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের কলকাতায় চলে যান। মৃত্যুর আগে সেখানাও কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।
সামাজিক ছবির জননন্দিত নির্মাতা মিতা’র ২১তম প্রয়াণ দিবস আজ। তিনি ২০০২ সালের ৩ মার্চ, ৭০ বছর বয়সে, ভারতের কলকাতায় পরলোকগমন করেন। প্রয়াত এই গুণি চলচ্চিত্রকারের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তাঁর বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।
মিতা (নারায়ণ ঘোষ মিতা) ১৯৩২ সালের ২৪ জানুয়ারী, ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। চলচ্চিত্রে আসার আগে ঢাকায় মঞ্চনাটকের সাথে নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবে জড়িত ছিলেন তিনি ।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জনপ্রিয় ও আলোচিত নাটক ‘জল্লাদের দরবার’-এ অভিনয় করে ছিলেন মিতা। ‘ক খ গ ঘ ঙ’, ‘আবার তোরা মানুষ হ’, ‘কাঁচের স্বর্গ’, ও ‘তৃষ্ণা’সহ আরো বেশকিছু চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি।
১৯৭৫ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান শুরু হয়। ‘লাঠিয়াল’ চলচ্চিত্রের জন্য প্রথম বছরেই শ্রেষ্ঠ প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জনের সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা ।
তিনি একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, পরিবেশক ও চিত্রনাট্যকার ছিলেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবেশক সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘চাওয়া পাওয়া’ মুক্তি পায় ১৯৬৭ সালে। তাঁর নির্মিত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- এতটুকু আশা, নীল আকাশের নীচে,
ক খ গ ঘ ঙ, দীপ নেভে নাই, এরাও মানুষ, আলোর মিছিল, লাঠিয়াল, তৃষ্ণা, অলংকার, চোখের মনি, জীবন মৃত্যু, সুখের সংসার, তাসের ঘর, মান অভিমান, সাহেব, সুদ আসল, হারানো সুর, সাজানো বাগান, প্রভৃতি।
সৃজনশীল, প্রতিভাবান এই চলচ্চিত্র নির্মাতা এক সময় বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের কলকাতায় চলে যান এবং সেখানেও কয়েকটি ছবি পরিচালনা করেন।
পারিবারিক ও সামাজিক গল্পের বাণিজ্যসফল ছবি’র গুণি নির্মাতা ছিলেন, নারায়ণ ঘোষ মিতা। তাঁর নির্মিত প্রতিটি চলচ্চিত্রই আলোচিত, প্রসংশিত ও জননন্দিত হয়েছে।হয়েছে ব্যবসাসফল। চলচ্চিত্র নির্মাণের এই অসাধারণ কারিগর এক সময় বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতের কলকাতায় চলে যান এবং সেখানেই তিনি প্রয়াত হন।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অবিস্মরণীয় নির্মাতা নারায়ণ ঘোষ মিতা তাঁর সৃজনশীল চলচ্চিত্র কর্মের মাধ্যমে, চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বাংলা ভাষা-ভাষি চলচ্চিত্রামোদীদের কাছে।