লাহোরের একটি ঐতিহাসিক মসজিদে ‘ড্যান্স ভিডিও’ শুটিং করার কারণে পাকিস্তানের অভিনেত্রী সাবা কমর ও অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে স্থানীয় একটি আদালত। অব্যাহতভাবে এ বিষয়ে আদালতের শুনানি এড়িয়ে চলার কারণে বুধবার সাবা কমর ও সঙ্গীতশিল্পী বিলাল সাঈদের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে লাহোরের একটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ই অক্টোবর পর্যন্ত মূলতবি করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই।
সাবা কমর ও অন্যরা লাহোরের পুরনো শহরে অবস্থিত ওয়াজির খান মসজিদকে অপবিত্র করেছেন মর্মে পাকিস্তানের দণ্ডবিধির ২৯৫ ধারা অনুযায়ী গত বছর সাবা কমর ও সাঈদের বিরুদ্ধে মামলা নিবন্ধিত করে লাহোর পুলিশ। মামলার এফআইআরে বলা হয়েছে, উভয় শিল্পীই ওই মসজিদে ড্যান্স ভিডিওর শুটিং করে এর অমর্যাদা করেছেন। এতে পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মসজিদটির পবিত্রতা লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জন সিনিয়র কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে পাঞ্জাব প্রদেশ সরকার।
ড্যান্স ভিডিওর কারণে দেশজুড়ে সমালোচনা তীব্র হয়ে ওঠে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিল্পীদের হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এতে সাবা কমর ও সাঈদ তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। সাবা কমর বলেছেন, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের দৃশ্য ধারণ করার জন্য ওটা ছিল মিউজিক ভিডিও। কোন প্লেব্যাক মিউজিক ব্যবহার করা হয়নি এতে। এমনকি মিউজিক ট্র্যাক এডিটও করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ভারতের বলিউড সিনেমায়ও অভিনয় করেন সাবা কমর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সেনসেশন কান্দিল বেলুচের ওপর একটি বায়োপিক করেছেন তিনি। ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কান্দিল বেলুচের ভাগ্য বরণ করতে হবে তাকে। উল্লেখ্য, পারিবারিক সম্মান নষ্ট করার অভিযোগে ২০১৬ সালে কান্দিল বেলুচকে হত্যা করে তার এক ভাই। ওদিকে সাবা কমর ও সাঈদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে লাহোরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের দাবি, ওই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা পাপ করেছেন।