English

29 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৫
- Advertisement -

সাফল্যে উড়ছেন লেডি গাগা

- Advertisements -

গেল মাসের ৭ তারিখে যখন পাশ্চাত্য পপ তারকা লেডি গাগার সাত নম্বর মিউজিক অ্যালবাম ‘মাহেম’ প্রকাশ পায়, তখন থেকেই নতুন করে উড়তে শুরু করেছেন তিনি। গ্র্যামি ও অস্কারজয়ী এ তারকা প্রায় দেড় মাসে অ্যালবামটি এরই মধ্যে বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় লাখ কপি। বিলবোর্ড ২০০ চার্টের এক নম্বরে অবস্থান করছে অ্যালবামটি।

আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি এবং ইতালির অডিও বাজার মাত করে এটি এখনো রয়েছে বিক্রি তালিকার শীর্ষে। বিলবোর্ড হট ১০০ তালিকায় রয়েছে এ অ্যালবামের নয়টি ট্র্যাক। অ্যালবামের শেষ গান ‘ডাই উইথ আ স্মাইল’ রয়েছে এ তালিকার ২ নম্বরে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, মাহেম অ্যালবামের ২ নম্বর গান ‘অ্যাবরাকাডাবরা’ ইউটিউবে রীতিমতো ঝড় তুলেছে। ফেব্র“য়ারির ৩ তারিখে প্রকাশিত এ গান এরইমধ্যে ভিউ হয়েছে প্রায় ১১৫ মিলিয়ন। ৬৭ তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে প্রিমিয়ার হওয়া এ গানের গীতিকারও তিনি। এরপর স্যাটারডে নাইট লাইভ, দ্য হাওয়ার্ড স্টার্ন শোতে গানটি লাইভ গেয়েছেন তিনি।

এ মাসের ১১-১৩ এবং ১৮-২০ তারিখে ক্যালিফোর্নিয়ার এম্পায়ার পোলো ক্লাবে অনুষ্ঠিত মিউজিক অ্যান্ড আর্ট ফেস্টিভ্যাল কোচেলা’র দর্শকদের যেন মাতাল করেছিল ‘অ্যাবরাকাডাবরা’ গানটি।

‘মাহেম’ অ্যালবাম প্রকাশের আগে লেডি গাগা এ গান সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘সমস্ত ভয়কে উপেক্ষা করে পপ মিউজিকের ভক্তদের জন্য আমি এ গান করেছি। সৃজনশীল এ কাজটি ছিল একটি ভাঙা আয়না ফের জোড়া লাগানোর মতো ঘটনা। যদিও আপনি কাচের টুকরোগুলো জোড়া লাগাতে পারবেন না। কিন্তু নতুনভাবে সুন্দর কিছু তৈরি করে উপস্থাপন করতে পারবেন। নিজস্বতায় সেটি হয়ে উঠবে অসাধারণ’।

উলে­খ্য, গানের কথায় ভিন্নতা থাকলেও ‘অ্যাবরাকাডাবরা’ শিরোনামে প্রথম গানটি ছিল স্টিভ মিলার ব্যান্ডের। ১৯৮২ সালে প্রকাশিত ওই অ্যালবামটি ছিল তাদের ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য। প্রকাশের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে ছিল বিলবোর্ড টপ ১০০ চার্টের এক নম্বরে। ছিল আমেরিকার শীর্ষ ৪০ অ্যালবামের তালিকায়ও।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, ‘অ্যাবরাকাডাবরা’ গানটি যখন ‘কোচেলা’র অনুষ্ঠানে লাইভ গাইছিলেন, তখন একপর্যায়ে প্রযুক্তিগত ত্র“টির কারণে লেডি গাগার হাতের মূল মাইকটি কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মাইক পরিবর্তন করে আবার গানটি গেয়ে শেষ করেন তিনি। দর্শকরা বিরক্ত না হলেও অনুষ্ঠান শেষে এক বিবৃতির মাধ্যমে ওই অনিচ্ছকৃত ত্র“টির জন্য দর্শকের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন এ পপ তারকা।

নাচে আর গানে সমান পারদর্শী ৩৯ বছর বয়সী পপ সেনসেশন লেডি গাগার আসল নাম স্টেফানি জোয়ান অ্যাঞ্জেলিনা জার্মানোটা। পেশাদার কণ্ঠশিল্পী হিসাবে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালের ১৯ আগস্ট ‘দ্য ফেইম’-এর মাধ্যমে। বিশ্বব্যাপি সাড়ে চার মিলিয়নের বেশি কপি বিক্রি হয় অ্যালবামটির। ১৭ বছরের সঙ্গীত ক্যারিয়ারে নিজেকে প্রমাণ করেছেন পাশ্চাত্য পপসম্রাজ্ঞী ম্যাডোনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে।

এরইমধ্যে করেছেন চৌদ্দটি গ্র্যমি, একটি একাডেমি, দুটি গোল্ডেন গ্লোব, একটি বাফটা, তিনটি ব্রিট, ষোলোটি গুয়েস এবং ১৮টি এমটিভি ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ড। ২০১৯ সালে গাগা সাউন্ডট্র্যাকের ইতিহাসে প্রথম গায়িকা হিসাবে তার অবদানের জন্য এক বছরে একইসঙ্গে অ্যাকাডেমি, বাফটা, গোল্ডেন গ্লোব ও গ্র্যামিজয়ী হন।

২০২৩ সালে রোলিং স্টোন তাকে সর্বকালের ২০০ সেরা কণ্ঠশিল্পীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১৮ সালের হিসাবে ১৭০ মিলিয়ন রেকর্ড বিক্রির মাধ্যমে বিশ্বের সেরা বিক্রিত অ্যালবামের অন্যতম দাবীদার হন। ২০২২ সাল পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী তিনি ৬.৩ মিলিয়ন দর্শকের উপস্থিতিসহ কনসার্ট ট্যুর থেকে আয় করেন প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, গাগা ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত টুইটারে সর্বাধিক ফলোয়ার পেয়েছেন, ২০১৩ সালে সবচেয়ে বিখ্যাত সেলিব্রিটি এবং ২০১৪ সালে সবচেয়ে শক্তিশালী পপস্টার ছিলেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন