লাক্স তারকা হয়ে শোবিজে পা রাখেন বিদ্যা সিনহা মিম। এরপর কাজ করেন প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘আমার আছে জল’ চলচ্চিত্রে।
বর্তমানে দেশের সেরা অভিনেত্রীদের একজন মিম। তবে এ পথ পাড়ি দিতে তাকে অনেক কষ্ট সইতে হয়েছে। আছে অনেক সংগ্রাম।
সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশনের ঈদের বিশেষ ‘রাঙা সকাল’-এ সে কথাই শেয়ার করলেন। তিনি জানান, চরিত্রের প্রয়োজনে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে। একবার সাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে মৃত্যুর মুখে পড়ে যান তিনি।
মিম বলেন, ‘অনেকের ধারণা শোবিজে আমার যাত্রা অনেকটা এলাম-দেখলাম-জয় করলামের মতো। শুরুর দিকে আমাকেও অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টারের বিজয়ী হওয়ার আগে মায়ের সহযোগিতায় দুই বছর মিডিয়ায় কাজ করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম। এমনকি একটি নাটকে অভিনেতা জাহিদ হাসানের বোনের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। তখন থেকেই নিশ্চিত ছিলাম, যদি অভিনয় করতেই হয় প্রধান বা নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করবো।
কাকতালীয়ভাবে আমি আমার প্রথম চলচ্চিত্র ‘আমার আছে জল’র অন্যতম নায়ক হিসেবে জাহিদ হাসানকেই পেয়েছিলাম।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী মিম আরও বলেন, শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, টিভি নাটকে অভিনয় করার জন্যও সর্বোচ্চ শ্রম, আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করতেন। মাহফুজ আহমেদের পরিচালনায় ‘শেষের কবিতার পরের কবিতা’ নাটকে অভিনয়ের জন্য সাইকেল চালানো শিখেছিলেন। কুমিল্লায় মাঝ রাস্তায় সাইকেল প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন।
প্রথম চলচ্চিত্রে কাজের আগে হুমায়ূন আহমেদেরই পরিচালনায় একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন মিম।
সে নাটকে অভিনয়ের জন্য পাঁচ হাজার টাকা সম্মানীও পেয়েছিলেন।
মিম এখন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। তবুও ১৪ বছর আগে কিংবদন্তি লেখক-পরিচালকের হাত থেকে পাওয়া প্রথম সম্মানী আজও সযত্নে রেখে দিয়েছেন।
ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে মিম এখন অভিনয় প্রধান চরিত্রের দিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। চরিত্র ভালো লাগার কারণে ‘নট হার ফল্ট’ স্বল্পদৈর্ঘ্যরে চলচ্চিত্রে বিনা পারিশ্রমিকেও কাজ করেছেন।
সাপলুডু, পরাণ, দামাল, ইত্তেফাক, অন্তর্জালসহ সাম্প্রতিককালের কাজগুলোতে নায়িকা মিমের চাইতেও অভিনেত্রী মিমকেই বেশি দেখা যাবে বলে দাবি তার।
‘রাঙা সকাল’র বিশেষ এই পর্বটি সঞ্চালনা করেছেন রুম্মান রশীদ খান ও নন্দিতা। জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় বিদ্যা সিনহা মীমের সঙ্গে ‘রাঙা সকাল’র পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের তৃতীয় দিন (২৩ জুলাই), সকাল ৭টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে।